ক্রীড়া প্রতিবেদক:
করোনার ক্ষতিগ্রস্ত ক্রীড়াবিদদের আরও সোয়া দুই কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এছাড়া প্রধামন্ত্রীর কাছ থেকে অন্য বরাদ্দ থেকেও ক্রীড়াবিদদের সাহায্যার্থে অর্থ পাওয়া যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশের ক্রীড়া বন্ধ থাকায় আর্থিকভাবে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ক্রীড়াবিদরা। তাদের সাহায্যে বেশ কয়েক দফায় আর্থিক প্রনোদনাও দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এবার প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বরাদ্দকৃত তিন কোটি টাকা থেকে সোয়া দুই কোটি টাকা প্রনোদনা দেয়া হয়েছে দেশের বিভাগ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সাংবাদিকদের। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে এ বরাদ্দ দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দেশের ক্রীড়ার ব্যাপারে খুব উদার। তিনি শুধু অস্বচ্ছল ক্রীড়াবিদদেরই নন, ক্রীড়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ব্যাক্তিদের আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার আওতায় আনতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী এরপর বলবয়দের এবং ক্রীড়ার বিভিন্ন ধাপে যারা সংশ্লিষ্ট তাদেরও প্রণোদনা দেয়া হবে”।
দেশের ৬৪ জেলা থেকে ৪৫ জন করে এবং ৮ বিভাগ থেকে ১০ জন করে মোট ২৯৬০ জন ক্রীড়া ব্যাক্তিত্ব পাবেন এই অর্থ। প্রত্যেককে ৭ হাজার টাকা করে মোট ২ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা দেয়া হবে। বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্যে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ক্রীড়াবিদদের হাতে তুলে দেবেন এই অর্থ। এছাড়া ক্রীড়া সাংবাদিকদের তিন সংগঠনকে ৯ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।
মানবিক সহায়তার এই পর্যায়ে তিন হাজারেরও বেশি ক্রীড়া ব্যাক্তিত্ব এই সোয়া দুই কোটি টাকা পাচ্ছেন। বাকি অর্থ অচিরেই বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের মাধ্যমে অসহায় ক্রীড়াবিদদের হাতে তুলে দেয়া হবে।
আর্থিক এমন বরাদ্দ দেয়ার পাশাপাশি দেশের ক্রীড়া শুরু এবং শুটিং ফেডারেশনে চলমান দ্বন্দ্ব নিয়েও মন্তব্য করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “যেসব খেলা শারীরিক সংস্পর্শ কম সেসব খেলা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে আমরা দ্রুত চালু করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছি। এই ধারাবাহিকতায় ঈদ উল আযহার পর আর্চারি এবং শুটিং শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া অন্যান্য ফেডারেশনও তাদের পরিকল্পনা জমা দিলে আমরা সেই অনুযায়ী কার্যকরী ব্যবস্থা নিবো। আর শুটিং ফেডারেশনের চলমান যে দ্ব›দ্ব আছে তা অপ্রীতিকরা। সভাপতি এবং মসহাসচিবের এই দ্বন্দ্বের কারণে আমরা কখনোই চাইবো না শুটিংয়ের মতো একটি সম্ভাবনাময় ইভেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হোক। এই দ্বন্দ্বের দ্রুত নিরসনে আমরা আলোচনা করবো। আর শুটিং রেঞ্জ এখন কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে থাকলেও শুটারদেও অনুশীলন এখানেই হবে নাকি বিকেএসপিতে করবো সে ব্যাপরেও আমরা ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিবো”।
সান নিউজ