স্পোর্টস ডেস্ক: অবশেষে জয়ে ফিরল বাংলাদেশ। আগেই হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল সিরিজ। শেষ ওয়ানডেটি ছিল বাংলাদেশের জন্য কেবলই মান রক্ষার। এমন এক ম্যাচে এসে অবশেষে জ্বলে উঠলো বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে ১০৫ রানে হারিয়ে সান্ত্বনার জয় তুলে নিলো টাইগার বাহিনী।
আরও পড়ুন : গরিব মানুষের জন্য কাজ করছে সরকার
প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৫৬ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। জবাবে ৩২.২ ওভারেই ১৫১ রানে গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিক দলের এই রানও হয়েছে শেষ উইকেট জুটির কল্যাণে। ৮৩ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর এনগারাভা আর নিয়াচি যোগ করেন ৫৮ বলে ৬৮ রান।
শেষ ম্যাচে হাসলেও ভুলে যাওয়ার মতো এক সফর গেলো বাংলাদেশের। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটা ১-২ ব্যবধানে হেরেছে, এর আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও একই ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল সফরকারী দল।
আরও পড়ুন : বিশ্ববাজারে কমেছে শস্যের দাম
আগের দুই ওয়ানডেতে ৩০৩ আর ২৯০ রানের পুঁজি নিয়েও পারেনি বাংলাদেশ। এবার পুঁজি ছিল আরও কম, ২৫৬ রানের। তবে এবার আর হতাশ করেননি টাইগার বোলারররা।
বাংলাদেশের দেয়া লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে জিম্বাবুয়ে। মাত্র ৩১ রানেই হারায় ৫ উইকেট। প্রথম ওভারে হাসান মাহমুদ ফেরান তাকুদজয়ানসে কাইতানোকে শূন্য রানে। পরের ওভারেই মেহেদী মিরাজ ফেরান আরেক ওপেনার তাদিওয়ানসে মারুমানিকে ১ রানে।
এদিন অভিষিক্ত এবাদত হোসেনের পেস ভেলকির কাছেই খেই হারায় স্বাগতিকরা। নিজের প্রথম ওভার করতে এসে দুই বলে তুলে নেন দুই উইকেট। ওভারের তৃতীয় বলে ১ রান করা ওয়েসলে মাধভেরেকে ফেরানোর পর বোল্ড করেন আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া সিকান্দার রাজাকে।
আরও পড়ুন: সৈন্যরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকবে
ম্যাচের মোড় এখানেই ঘুরে যায়। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে বড় জুটি বাঁধেন ভিক্টোর নায়ুচি ও রিচার্ড নাগারভা। দশম জুটিতে দুজনে ৫৮ বলে তোলেন রেকর্ড ৬৮ রান। নায়ুচি ২৬ রান করে আউট হলেও নাগারভা অপরাজিত থাকেন ৩৪ ৯২৭) রানে। ৩২.২ ওভারে জিম্বাবুয়ে থামে ১৫১ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান, ২টি করে নেন এবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। ১ উইকেট করে নেন হাসান মাহমুদ ও মেহেদী হাসান।
সান নিউজ /এমআর