কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর): ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অতিথি না করায় ফুটবল টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গত শনিবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৪টায় ওই ফুটবল টুর্নামেন্টটির উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে টুর্নামেন্টটি বন্ধ করে দেয় ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: টাইগারদের দাপুটে জয়
জানা যায়, মাদক প্রতিরোধে দীর্ঘদিন পর উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে ‘কাজী আবুল কালাম স্মৃতি ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’ এর আয়োজন করে এলাকার যুবসমাজ। টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহ্বান করা হয় শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইসরাফিল মোল্যাকে। উদ্বোধনী খেলা উপলক্ষে ৩০/৩৫ হাজার টাকা খরচ করে আয়োজক কমিটি মাঠ সংস্কার ও প্যান্ডেল/মঞ্চ তৈরি করেন। গত ৩০ জুলাই (শনিবার) বিকেল ৪টায় উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। খেলায় শেখর ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমেদকে অতিথি না করায় তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে টুর্নামেন্টটি বন্ধ করে দেন বলে জানান আয়োজকরা। ফুটবল টুর্নামেন্ট বন্ধ হওয়ায় স্থানীয় ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য মো. জিল্লুর রহমান বলেন, অনেক কষ্ট করে সহস্রাইল মাঠে একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিলাম। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা ও শেখর ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমেদকে অতিথি না করায় তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে টুর্নামেন্টটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাদাগাস্কারে ডাকাতের আগুনে নিহত ৩২
এ ব্যাপারে টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মো. ইসরাফিল মোল্যা বলেন, দীর্ঘদিন পর মাদকসহ বিভিন্ন বিপদগামী পথ থেকে যুবসমাজকে ফিরিয়ে আনার জন্য ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু এলাকার কিছু কুচক্রী মহলের কারণে প্রশাসন টুর্নামেন্টটি স্থগিত রাখতে বলেন।
শেখর ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমেদ বলেন, আমি নিরপেক্ষ, আমি ইউনিয়নের সবার চেয়ারম্যান। আমি কোথাও কোন দরখাস্ত দেইনি। এ ব্যাপারে কেউ যদি আমার নাম ব্যবহার করে থাকে, তারা মিথ্যাচার করেছে।
বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, আমি কোন দরখাস্ত পাইনি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাই দুই পক্ষ একই সময়ে, একই মাঠে ফুটবল খেলার আয়োজন করেছে। এলাকার শান্তি ভঙ্গের আশংকায় দুই পক্ষকে ডেকে বলেছি, এটা করলে এলাকায় শান্তি ভঙ্গের আশংকা আছে। যদি এমনটা হয় তাহলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেবো। শেখর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমেদ এবং সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইসরাফিল মোল্যা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সময়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের চায় না আ’লীগ
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, একই সময়ে একই ভেন্যুতে দুই পক্ষ কর্মসূচি দেয়ায় আমার পক্ষ থেকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা, শেখর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমেদ ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইসরাফিল মোল্যাকে অনুরোধ জানিয়েছি, নিজেরা বসে বিষয়টার শান্তিপূর্ণ মীমাংসা করার জন্যে।
সান নিউজ/কেএমএল