ক্রীড়া প্রতিবেদক:
টাইগারদের পাকিস্তান সফরের প্রথম দফায় লাহোরে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ১০হাজার পুলিশ। সঙ্গে আরও থাকবে সেনাবাহিনীর কমান্ডো ও আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স।
শনিবার (১৯ জানুয়ারি) পাঞ্জাবের আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর আহ্বানে প্রথম দুই দফার সফরে বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা বৈঠকে বসেছিল দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি। বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানানো হয়।
দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল নামের পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জানায়, এ সভায় বাংলাদেশ দলের জন্য একটি বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ দলের হোটেল এবং মাঠে যাওয়ার পথ-এ দুটি জায়গায় নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকবেন ক্রিকেটাররা। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এ শহরে বাংলাদেশ দলকে নিরাপত্তা দিতে মোতায়েন করা হবে ১০ হাজার পুলিশ। কোনো সমস্যা হলে দ্রুতগতিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৈরি থাকবেন ১৯ জন বিশেষ কর্মকর্তা, সামরিক কমান্ডো এবং রেঞ্জার্স। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের জন্য নিরাপত্তা দেবেন সামরিক ব্যাটালিয়ন, রেঞ্জার্স উইং এবং ৪ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য।
এ ছাড়াও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা এবং স্টেডিয়ামের ভেতর-বাইরে যাওয়ার পথে পূর্ণ মাত্রায় তল্লাশি চালানো হবে। আহ্বায়ক রাজা বাসরাত বৈঠকে বলেন, নিরাপত্তা পরিকল্পনা কোনোরকম খুঁত ছাড়া সময়মতো প্রয়োগ করতে হবে বাংলাদেশ দলের জন্য। প্রস্তাবিত এ নিরাপত্তা পরিকল্পনায় সাধারণ জনগণের যেন ভোগান্তি না হয় সে ব্যাপারেও লক্ষ্য রাখার কথা বলেছেন তিনি। ইসলামাবাদ পুলিশের সঙ্গে রাওয়ালপিন্ডি পুলিশকে সমন্বয় করে কাজ করতে বলেছেন তিনি।
প্রথম ধাপে লাহোরে ২৪, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট গড়াবে ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। সবশেষে ৩ এপ্রিল করাচিতে একটি ওয়ানডে এবং ৫-৯ এপ্রিল দ্বিতীয় টেস্টে শেষ হবে সিরিজ।