সান নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। ওয়ানডে ক্রিকেটে একসঙ্গে অভিষেক এই দুই তারকার।
আরও পড়ুন: অর্থনীতি চাপের মুখে পড়েছে
২০০৬ সালে হারারে স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ৫ম ম্যাচে অভিষেক হয় মুশফিক-সাকিবের। ওই ম্যাচে সাকিব বল হাতে নিয়েছিলেন ১ উইকেট, ব্যাট হাতে করেন অপরাজিত ৩০ রান। মুশফিক কোনো অবদান রাখারই সুযোগ পাননি।
ওয়ানডে ক্রিকেটে হাত ধরাধরি করে পথচলা শুরু বাংলাদেশের ক্রিকেটের সেরা দুই তারকার। এরপর থেকে গত ১৬টি বছর বাংলাদেশ কোনো ওয়ানডে সিরিজ একসঙ্গে এই দুইজনকে ছাড়া আর খেলেনি।
বাংলাতেশ শুধুমাত্র একটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল তাদের ছাড়া। ২০২০ সালে ৬ মার্চ সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে (যেটা ছিল মাশরাফির অধিনায়ক এবং খেলোয়াড় হিসেবে শেষ ওয়ানডে ম্যাচ) সাকিব এবং মুশফিককে ছাড়াই খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ দল।
সাকিব আল হাসান ছিলেন নিষেধাজ্ঞার কবলে। আগেই সিরিজ নিশ্চিত হওযার কারণে শেষ ম্যাচে রাখা হয়নি মুশফিককে। এছাড়া বাকি সব সিরিজেই দু’জন একসঙ্গে কিংবা হয়তো যে কোনো একজনের উপস্থিতি ছিলই।
অথচ, ২০০৬ সালের পর এই দীর্ঘ সময়ে এই প্রথম কোনো ওয়ানডে সিরিজে একসঙ্গে দলে নেই সাকিব এবং মুশফিকুর রহীম। ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশ দলের সফরের আগেই ছুটি নিয়ে নেন মুশফিকুর রহিম। পবিত্র হজ পালন করার জন্য মুশফিক এখন মক্কায় অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে মোদির শুভেচ্ছা
অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার পরই ছুটি চেয়ে নেন সাকিব আল হাসান। পরিবারের সঙ্গে নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন তিনি। একসঙ্গে সেরা দুই তারকা সাকিব-মুশফিক ছাড়া তামিম ইকবাল কী পারবেন ওয়ানডে সিরিজ জিততে? বড় একটা চ্যালেঞ্জেরই মুখোমুখি তিনি।
সান নিউজ/এসআই