স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার পরেই কাতার দর্শকদের জন্য বেশ কিছু নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। এবার বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামে মদ কেনা বেচা, পান করা নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।
আরও পড়ুন: জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুলিবিদ্ধ
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম মুসলিম অধ্যুষিত দেশে হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ। তাতে নিয়মের কড়াকড়ি আছে বেশ। আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক গড়লে হতে পারে সাত বছরের জেল। সমকামী সমর্থনে কোনো চিহ্ন প্রদর্শনেও আছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। এবার জানা গেল বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলোতে থাকছে না মদের উপস্থিতিও।
মদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে এখনো চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি। তবে আয়োজকদের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘কাতার বিশ্বকাপে মোটাদাগে নিষিদ্ধই থাকছে মদ। তবে স্টেডিয়ামের বাইরে খেলা শুরু আর শেষের আগে হয়তো বিয়ার বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে। স্টেডিয়ামের ভেতর অবশ্য কাউকে অ্যালকোহল নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: ফের বাড়ছে পানির দাম
আগামী নভেম্বরে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এই প্রতিযোগীতা। কাতার যেহেতু মুসলিম দেশ, সেখানে আগে থেকেই প্রকাশ্যে মদ্যপান নিষিদ্ধ। তবে ফুটবলের সঙ্গে বিষয়টির অন্যরকম এক সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে সমর্থকদের মদ্যপানের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছে আয়োজক দেশটি।
রাজধানী দোহার আল বিদ্দা পার্কে অবস্থিত ফিফার মূল ফ্যান জোনে কিছু জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে, সেখানে চলবে বিয়ার কেনাবেচা। এছাড়াও দোহা গলফ ক্লাবের অব্যবহৃত এক অংশে ১৫ থেকে ২০ হাজার দর্শকের জন্য অ্যালকোহল বেচা হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্ত
ফুটবল বিশ্বকাপে মদ নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা অবশ্য এবারই প্রথম নয়। ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিলও নিষিদ্ধ করেছিল অ্যালকোহল। তবে ফিফার চাপে সে নিষেধাজ্ঞা শেষমেশ উঠিয়ে নিতে বাধ্য হন আয়োজকরা।
সান নিউজ/এফএ