স্পোর্টস ডেস্ক : ২৫ জুন (শনিবার) পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এ দিনটি পুরো জাতির কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করেছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উৎসব।
আরও পড়ুন : বাঙালি আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে
অপরদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অবস্থানরত বাংলাদেশ জাতীয় দলও উদ্বোধন উপলক্ষে পদ্মা সেতু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত কেক কেটে উৎসব আনন্দে মেতেছেন।
বিসিবিতেও পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের উচ্ছ্বাস, উল্লাসের ঢেউ আছড়ে পড়েছে। মিরপুরে হোম অফ ক্রিকেটকে এ উপলক্ষে সাজানো হয়েছিল বর্ণিল সাজে। লাল-সবুজ আলোকসজ্জায় রঙিন রুপ ধারণ করে শেরে বাংলা। মাঠের ভেতর সবুজ গালিচার ওপর সবুজ মঞ্চ করে কেক কাটা হয়।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের ঘোষণা ও পুরো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানোও হয়।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণার পর বিশাল কেক কাটা হয়। এছাড়া কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাতও অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণও করা হয়।
আরও পড়ুন : পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলবে রোববার
জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা না থাকলেও শেরে বাংলায় বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্প থেকে সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, নাইম ইসলাম ও আল আমিন প্রমুখ ক্রিকেটারকেও দেখা গেল এ আনন্দযজ্ঞে।
বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন, পরিচালক মাহবুব আনাম, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনসহ অন্য পরিচালকরাও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এই পদ্মা সেতু হলো দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙ্গে বাঙালির বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার স্বপ্নপূরণ।’
আরও পড়ুন : অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছি
‘এটাতে কোনো সন্দেহ নেই, পদ্মা সেতু না হলে কি হতো? বিশ্বব্যাংক বন্ধ করে দিল, সবাই এটা নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া শুরু করল। থেমেও তো যেতে পারত। তাতে হতোটা কি? এমন কত প্রকল্পই তো হয় না। এটা আমাদের জাতির জন্য লজ্জার একটা বিষয় হতো।’
পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা ও অবদানের ভুয়সী প্রশংসা করে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এই স্বপ্ন বা এই গল্প রূপকথাকেও হার মানায়। এই গল্পের প্রতিটা পাতায় যে নাম লেখা আছে সেটা হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই স্বাধীনতার স্বপ্নটা যেমন একমাত্র বঙ্গবন্ধুর পক্ষেই সম্ভব ছিল দেখা ও বাস্তবায়ন করা। পদ্মা সেতুও একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যার পক্ষেই সম্ভব, আর কারো পক্ষে না। এটা দ্বিতীয় কেউ চিন্তাই করতেও পারে না।’
বিসিবি প্রধান এ সময় যোগ করে বলেন, ‘এটা আমাদের গৌরব, এটা আমাদের মর্যাদা, এটা আমাদের অহংকার।’
সান নিউজ/এইচএন