সান নিউজ ডেস্ক: আধুনিক ক্রিকেটে বেড়েছে ব্যস্ততা। বছর জুড়ে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের খেলার মধ্যে থাকতে হয়। এতে ট্রেনিং করে শরীর ফিট রাখা গেলেও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখা যাচ্ছে না। বলা হয় ক্রিকেট মনস্তাত্ত্বিক খেলা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেটের টেস্ট দলের খেলোয়াড়দের মানসিক দুর্বলতার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। তাদের মানসিক অবসাদ এতোটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, সেটির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ড্রেসিংরুমের পরিবেশে।
আরও পড়ুন: খোমেনি স্টাইলে বিপ্লবের দুঃস্বপ্ন দেখছে বিএনপি
ঢাকা টেস্ট শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০ উইকেটের হেরে যায় স্বাগতিকরা। এরপর শনিবার (২৮ মে) মিরপুরে এ বিষয়ে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘মানসিক জড়তা রয়ে গেছে এটা অস্বীকার করা যাবে না। ছেলেরা কতটুক স্বীকার করবে জানি না। কিন্তু ড্রেসিংরুমে মানসিক সমস্যার একটা বাধা রয়ে গেছে। মানসিকভাবে আমরা হয়ত সেরকম না বা এখনো মানিয়ে নিতে পারছি না।’
ব্যর্থতার পিছনে পুরো দায় কি খেলোয়াড়দের মানসিক অবসাদের? নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জয়ের পর আর তেমন কোনো সাফল্য নেই। এমনকি নিজেদের মাঠে পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কাকে পেয়েও ফলাফল ছিলো বিপক্ষে। টাইগার টেস্ট দলে এমন খেলোয়াড়ের সংখ্যাই তো বেশি, যারা শুধু এই ফরম্যাট খেলেন। এজন্য টিম ডিরেক্টর মনে করছেন মানসিকতার সঙ্গে টেকনিক্যাল প্রবলেম আছে।
আরও পড়ুন: দেশের মানুষ তিন বেলা মাংস খেতে পারে
খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, টেকনিক্যাল প্রবলেম তো কিছু না কিছু থাকেই। আমরা কোথাও আটকে আছি যেখান থেকে বের হতে পারছি না। মোমেন্টাম নষ্ট থাকে, আত্মবিশ্বাস অনেক কম থাকে। এমন কিছুও হয়ত হচ্ছে। উন্নতির সুযোগ থাকছেই। মূল ৩-৪ জন বোলার ছিল না- এগুলো অজুহাতের মতো। যারা খেলেছে তারা কেন পারবে না? সমস্যাটা কোথায় এটা বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
সান নিউজ/এনকে/এফএ