ক্রীড়া ডেস্ক: ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের আশার প্রদীপ ছিল মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের জুটি। তবে ৩৬ মিনিটের বেশি টিকেনি এ দুজনের প্রতিরোধ। দিনের অষ্টম ওভারে সাজঘরে ফিরে গেছেন অভিজ্ঞতম ব্যাটার মুশফিক। মাত্র ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ইনিংস হারের শঙ্কা জেঁকে বসেছে টাইগার শিবিরে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫৫ রান। ইনিংস পরাজয় এড়াতে এখনও প্রয়োজন ৮৮ রান। মুশফিক আউট হয়েছেন ৩৯ বলে ২৩ রান করে। নতুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে আছেন সাকিব আল হাসান। লিটন খেলছেন ৯ রান নিয়ে।
টপঅর্ডারের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় চতুর্থ দিন বিকেলে মাত্র ২৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে টিম বাংলাদেশ। শেষ দিকে লিটন এবং মুশফিক মিলে ৩.৫ ওভার কাটিয়ে দেন নির্বিঘ্নে। বাংলাদেশ ৩৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দিনের খেলা শেষ করে। প্রথম ইনিংসের মতো আবারও লিটন-মুশফিকের কাঁধে বর্তায় বড় দায়িত্ব।
প্রথম ইনিংসের আত্মবিশ্বাস থেকে আজকের দিনের শুরুতেও ইতিবাচক খেলতে থাকেন মুশফিক। শুরুতে বেশ আক্রমণাত্মক ফিল্ড সাজায় শ্রীলঙ্কা। তবে লিটন-মুশফিকের সাবলীল ব্যাটিংয়ের কারণে খানিক রক্ষণাত্মক হয়ে গিয়েছিল তারা। আসিথা ফার্নান্দোর ওভারে জোড়া বাউন্ডারিও হাঁকান মুশফিক।
আসিথার তুলনায় কাসুন রাজিথার বোলিং ছিল অধিক নিয়ন্ত্রিত ছিল। অফস্ট্যাম্পের বাইরে থেকে হালকা মুভমেন্টের বেশ কিছু ডেলিভারিতে লিটনের মনে প্রশ্নের সৃষ্টি করেন তিনি। ইনিংসে ১৯তম ওভারে তো রাজিথার বলে লিটনকে কট বিহাইন্ডই দিয়ে বসেছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে নিজের উইকেট বাঁচান লিটন।
আরও পড়ুন: টিভিতে আজকের খেলা
রাজিথার পরের ওভারে মুশফিক পারেননি নিজেকে বাঁচাতে। অফস্ট্যাম্পের বাইরে লেন্থ ডেলিভারিটি হালকা স্কিড করে সোজা ঢুকে গেছে স্ট্যাম্পে। দ্রুত ব্যাট নামিয়েও বোল্ড হওয়া থেকে বাঁচতে পারেননি মুশফিক।
সাননিউজ/এমএসএ