সান নিউজ ডেস্ক: ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫০৬ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। লিড নিয়েছে ১৪১ রানের। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই চার উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ওপেনার তামিম ইকবাল প্রথমটির মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও শূন্য রানে বিদায় নেন। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো বাজে এই অভিজ্ঞতার শিকার হলেন তিনি। এরপর ব্যাট করতে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর ভাগ্য সহায় হয়নি। রান আউট হয়ে ২ রানে সাঝঘরে ফেরেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষণ দায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড
আসিথা ফার্নান্দোর বল পয়েন্টে আলতো করে খেললেন শান্ত। ফিল্ডার খুব কাছে থাকায় এখান থেকে রান নেওয়া ঝুঁকির অনেক। সেই কাজটিই করলেন তিনি। দৌড় দিলেন রানের জন্য। শুরুতে কিছুটা রান নেবেন কি নেবেন না সেই দ্বিধায় খাপিয়েও শেষ পর্যন্ত দৌড় দেন তিনি। এক হাতে বল ধরে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থ্রো করে স্টাম্প ভেঙে দেন প্রাভিন জয়াবিক্রমা। ফেরেন ১১ বলে ২ রান করে।
উইকেটে যেন টিকতেই পারছেন না মুমিনুল হক। ব্যর্থতার বলয় থেকে বের হতেও পারছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। আবারও ফিরলেন তিনি দলকে কঠিন বিপদে ঠেলে দিয়ে। কিছুক্ষণ একপ্রান্ত আগলে রাখা মাহমুদুল হাসান জয়ও শেষ পর্যন্ত উইকেট হারান আসিথার বলে। কুশলের হাতে ক্যাচ তুলে ১৫ রানে বিদায় নেন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ ২৪ রান। ব্যাট করছে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল স্বাগতিকরা।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ৫০৬ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা; লিড ১৪১ রানের। ১৪৪ রানে অপরাজিত থেকে যান সেঞ্চুরিয়ান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।
৫ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে শ্রীলঙ্কা। দিনের শুরুতে একদমই নির্বিষ বোলিং করেন বাংলাদেশের বোলাররা। আড়াই ঘণ্টার প্রথম সেশনে একমাত্র সুযোগ তৈরি করেছিলেন মুমিনুল হক।
আরও পড়ুন: চোর-ডাকাত কন্ট্রোলে নিয়ে এসেছি
বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা আগেই শুরু হয় চতুর্থ দিনের খেলা। দিনের শুরুটা করেন এবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। এরপর একে একে সাকিব আল হাসান, খালেদ আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন ও মুমিনুল হক আসেন বোলিংয়ে। কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারেনি কেউই।
একমাত্র মুমিনুলই একবার উইকেট নেওয়ার কাছাকাছি গিয়েছিলেন। তার অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বল চান্ডিমাল ডিফেন্ড করতে গেলে স্টাম্পের পেছনে দাঁড়ানো লিটন দাসের হাতে যায়, আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান লঙ্কান ব্যাটার। এর বাইরে পুরো সেশনজুড়েই ঠিকঠাক লাইন-লেন্থ খুঁজে পাননি বোলাররা। আগের দিন বিকেলে উইকেটে টার্ন দেখা গেলেও চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে দেখা যায়নি তেমন কিছুই।
সান নিউজ/এনকে/এফএ