স্পোর্টস ডেস্ক : মুশফিকুর রহমান এক পাশ আগলে রেখে এক মনে খেলে চলেছেন। তবুও হলো না ব্যক্তিগত ২০০ রান। লঙ্কানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৬৫ রান। মুশফিক নট আউট ছিলেন ১৭৫ ।
আরও পড়ুন : ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বােধন
স্বাগতিক বাংলাদেশ মিরপুর টেস্টে সুবিধাজনক অবস্থানে। দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে ৪ রান যোগ করে রান আউটের শিকার ইবাদত হোসেন।
বাংলাদেশের প্রথম দিন শেষে রান ছিল ৫ উইকেটে ২৭৭। লিটন ১৩৫ ও মুশফিক ১১৫ রানে ছিলেন অপরাজিত। দ্বিতীয় দিনে মাঠে নেমে লিটন করতে পারলেন ৬ রান।
রাজিথার বলে মেন্ডিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে লিটন করেন যান ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস, ১৪১। ২৪৬ বলের ইনিংসে তিনি হাঁকান ১৬টি চার ও একটি ছক্কা।
আরও পড়ুন : রাশিয়ার সঙ্গে বন্দিবিনিময়ের জন্য প্রস্তুত
লিটনের বিদায়ে রেকর্ড ২৭২ রানের জুটি ভাঙে। টেস্টে ৬ষ্ঠ উইকেটে সেরা জুটি এটি বাংলাদেশের। এরপর মাঠে নামেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। কিন্তু পারেননি টিকতে। তৃতীয় বলের মাথায় রাজিথার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেক। ফেরেন শূন্য রানে।
অপর প্রান্তে মুশফিক ছিলেন নিজের মতোই দাপুটে। তার সঙ্গী হন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এই জুটিতে বাংলাদেশের স্কোর পৌঁছে যায় সাড়ে ৩ শ’র কাছাকাছি। এর মধ্যে নিজের ১৫০ রান পূর্ণ করেন মুশফিক। যা তার ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বার। ১৫০ ছাড়ানো আগের চার ইনিংসের তিনটিতেই ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুশফিক।
আরও পড়ুন : ঢাবিতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষ
তাইজুল দলীয় ৩৪৫ রানর মাথায় বিদায় নেন। ফার্নান্দোর বাউন্সারে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ৩৭ বলে ১৫ রান করেন এই টেল এন্ডার। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পেসার খালেদ আহমেদ। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
বিদায় নেন ফার্নান্দোর বলেই ডিকভেলার হাতে ক্যাচ দিয়ে। নতুন ব্যাটার ইবাদত রানের জন্য করেছেন বেশ লড়াই। রানের খাতা খুলার আগেই আউট হয়েছিলেন। তবে রিভিউ নিয়ে বেচে যান তিনি।
২০ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি ইবাদত। তিনি মূলত সঙ্গ দিয়েছেন মুশফিককে। লঙ্কানদের হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন করেছেন কাসুন রাজিথা। ফার্নান্দো নেন চার উইকেট।
সান নিউজ/এইচএন