স্পোর্টস ডেস্ক : শ্রীলঙ্কান বোলার কাসুন রাজিথার বাউন্সারে দশ নম্বর ব্যাটার শরিফুল ইসলাম আহত হয়ে অবসরে গেলেন। এর মধ্য দিয়েই ৪৬৫ রানে শেষ হলো স্বাগতিক বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
আরও পড়ুন : কক্সবাজারে অপরিকল্পিত স্থাপনা নয়
এরআগে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ফলে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ৬৮ রানের। পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিনের তৃতীয় সেশনে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমেছে সফরকারীরা।
মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের ইনিংসকে টেনে নিয়েছেন। ভীষণ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন তিনি। তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে মুশফিকুর রহিম বাউন্ডারি হাঁকান মাত্র চারটি।
অবশেষে মুশির ধৈর্যচ্যুতি ঘটে ২৮২ বল খেলে। ব্যক্তিগত ১০৫ রানে এম্বুলদেনিয়াকে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই উইকেট কিপর কাম ব্যাটার।
আরও পড়ুন : দেশে গমের পর্যাপ্ত মজুত আছে
এদিকে সেঞ্চুরি মিস করেন লিটন দাস। মধ্যাহ্ন বিরতির পর কাসুন রাজিথার প্রথম বলেই শরীরের বাইরে খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন তিনি। ১৮৯ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৮৮ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার।
আগের দিন ১৩৩ রানে আহত অবসরে যাওয়া তামিম ইকবাল এরপর ক্রিজে আসেন। কিন্তু রাজিথার পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান তামিম। টানা দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে ১২ ওভারের মতো কাটিয়ে ৩৬ রান যোগ করেন সাকিব-মুশফিক।
আরও পড়ুন : ভারতের আসামে বন্যায় নিহত ৮
সাকিব স্বাচ্ছন্দ্যেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ইনিংসের ১৪৫তম ওভারে আসিথা ফার্নান্ডোর একটি বাউন্সার আঘাত করে তার হেলমেটে। ফার্নান্ডোর পরের ওভারেই আউট হয়ে যান সাকিব।
ফার্নান্ডোর আরেকটি বাউন্সার কাঁধ সমান উচ্চতায় উঠলে ব্যাট চালিয়ে দেন সাকিব (২৫)। লেগ সাইড দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে ক্যাচটি গ্লাভসবন্দী করেন লঙ্কান উইকেটরক্ষক ডিকভেলা।
এর আগে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে বেশি সময় নেননি মুশফিকুর রহিম। দিনের ১৬তম ওভারেই দেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে করে ফেলেছেন টেস্ট ক্রিকেটে ৫ হাজার রান।
আরও পড়ুন : জাজিরায় ৫টি বনবিড়াল অবমুক্ত করলো বনবিভাগ
আগেরদিন করা ৩ উইকেটে ৩১৮ রান নিয়ে আজকের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে ২৭ ওভার খেলে অবিচ্ছিন্ন থেকেই মুশফিক-লিটন যোগ করেছেন ৬৭ রান। এ দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটির সংগ্রহ ১৬৫ রান। যা টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ।
সান নিউজ/এইচএন