ক্রীড়া প্রতিবেদক:
করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের সব ধরণের ক্রীড়াই বন্ধ। তেমনই বন্ধ বাংলাদেশ শুটিং ফেডারেশনের কার্যক্রমও। শুটাররা আছেন ঘরবন্দী অবস্থায়।
তবে আলোচনায় আছেন শুটিং ফেডারেশনের দুই শীর্ষ কর্তা সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এবং মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু।
কিছু অভিযোগের উপর ভিত্তি করে গত জুনের শুরুর দিকে নির্বাহী কমিটির সভায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে কিছু অসঙ্গতি উঠে আসে।
যেসব অসঙ্গতির কিছু বিষয় মহাসচিবের বিরুদ্ধে গিয়েছে বলে সান নিউজকে জানিয়েছেন ফেডারেশন সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী।
এসব অসঙ্গতির প্রেক্ষিতে মহাসচিব বরাবরও চিঠি পাঠানো হয়েছে। যার জবাবের অপেক্ষায় আছে ফেডারেশনের তদন্ত কমিটি বলছেন সভাপতি।
সান নিউজের প্রশ্নে সভাপতি নাজিমউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্যদের মধ্য থেকে তিনজনকে নিয়েই নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এখানেই আপত্তি জানিয়েছেন মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু। তার কথা, যে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে সেগুলো ছিল কিছু উড়ো চিঠি।
নির্বাহী কমিটির সভায় যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল তাদের প্রথম দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল উড়োচিঠির সত্যতা যাচাইয়ের ব্যাপারে।
তবে তারা তা না করে উল্টো সেসব উড়োচিঠির প্রেক্ষিতে তার কাছে কিভাবে জবাব চায় বলে অভিযোগ করেন মহাসচিব।
আগামী ডিসেম্বরে ফেডারেশনের নির্বাচনকে সামনে রেখেই এসব কাজ করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ইন্তেখাবুল হামিদ। তার কথা, নির্বাচনে যাতে কমিটির মধ্যে ইন্তেখাবুল হামিদ বা তার পক্ষের কোন লোক না থাকতে পারে সেজন্যই হয়রানিমূলক এই কাজগুলো করা হচ্ছে।
ফেডারেশনের তদন্ত কমিটি এমনও একটি চিঠি নিয়ে তদন্ত করে, যে চিঠিতে উল্লেখ ছিল আট শুটার বিদেশের গেমস থেকে ফেরার সময় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দেশে অস্ত্র এনেছে। সেই চিঠির প্রেক্ষিতেও ফেডারেশন তদন্ত করে।
এছাড়া শুটাররা দেশের কারো কাছ থেকে কাগজ ছাড়া অস্ত্র কিনেছে এমনটাও জানতে পারে তদন্ত কমিটি। সান নিউজের এসব তথ্যকে সত্য বলেছেন ফেডারেশন সভাপতি নাজি উদ্দিন চৌধুরী।
তবে এসব কর্মকান্ডে শুটাররা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলছেন মহাসচিব ইন্তখাবুল হামিদ অপু।
তার ভাষ্য, এর আগেও বহুবার বিদেশ থেকে শুটাররা অস্ত্র এনেছে। হয়তো কখনো কখনো বিমানবন্দরে সেই অস্ত্রের ঘোষণা তারা দিয়েছে বা কখনো দেয়নি।
যে চিঠিতে উল্লেখিত ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি কাজ করেছে হয়তো সে সময় শুটারা শুল্ক দেয়নি বলে ধারণা করছেন মহাসচিব।
সভাপতির প্রতি বিষেদাগার করে সান নিউজকে মহাসচিব বলেন, এনবিআরে নাজিমউদ্দিন চৌধুরীর এক বন্ধু আছেন। যার দ্বারা সভাপতি এসব কাজ করাচ্ছেন।
মহাসচিব এই নোংরামি বন্ধের দাবি জানান। এছাড়া ফেডারেশনের বর্তমান কোচিং প্যানেল নিয়েও প্রশ্ন তুলেন মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ।
সান নিউজ