স্পোর্টস রিপোর্টার : একের পর এক সেঞ্চুরি করে চলেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। তিনি যেন রান মেশিন হয়ে উঠলেন। টেস্ট সিরিজে যেমন, ওয়ানডে সিরিজেও তেমন।
আরও পড়ুন : বিদেশি ষড়যন্ত্র জাতি মেনে নেবে না
সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। টানা সেঞ্চুরি করলেন এসে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও।
অধিনায়ক বাবরের সেঞ্চুরিতে রীতিমত উড়ে গেলো সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। ১২ ওভারের বেশি (৭৩ বল) হাতে রেখে, ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে পাকিস্তান। সে সঙ্গে সিরিজটাও নিজেদের করে নিলো তারা ২-১ ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচে ৮৮ রানে হারের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতলো বাবর আজমরা।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ৩৭.৫ ওভারেই, মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে।
আরও পড়ুন : রাজধানীতে গ্যাস সংকট
১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন বাবর। ইমাম-উল হক অপরাজিত থাকেন ৮৯ রানে। রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ২৪ রানে ফাখর জামানকে হারানোর পর অবিচ্ছিন্ন ১৯০ রানের জুটি গড়েন বাবর ও ইমাম।
২০০২ সালের পর, ২০ বছর বিরতি দিয়ে এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে বাবরের এটি ১৬তম সেঞ্চুরি। এই ১৬ সেঞ্চুরি করতে সবচেয়ে কম ইনিংস (৮৩টি) খেলেছেন বাবর। ১৬ সেঞ্চুরি করতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কম ইনিংস খেলছেন হাশিম আমলা (৮৬টি)।
আরও পড়ুন : এবার রুবলে খাদ্য-শস্য বিক্রির ঘোষণা
এর আগে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩৪৯ রানের রেকর্ড রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়াকে ছয় উইকেটে হারায় পাকিস্তান। সে ম্যাচেও দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নেন পাকিস্তানি এই অধিনায়ক। ১১৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন বাবর। সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮৮ রানে হারলেও বাবর করেছিলেন ৫৭ রান।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬ রানেই অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল ৩ উইকেট। শাহিন শাহ আফ্রিদির করা ম্যাচের প্রথম বলেই বোল্ড হন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ট্রাভিস হেড।
আরও পড়ুন : ক্যালিফোর্নিয়ায় গোলাগুলিতে নিহত ৬
দ্বিতীয় ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই অসি অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন হারিস রউফ। গত ম্যাচেও ‘ডাক’ মেরেছিলেন ফিঞ্চ। ষষ্ঠ ওভারে মার্নাস লাবুশেনকে (৭) ইফতিখার আহমেদের ক্যাচ বানান হারিসই।
বেন ম্যাকডারমটের ৩৬, অ্যালেক্স ক্যারির ৫৬, ক্যামেরন গ্রিনের ৩৪ ও শন অ্যাবটের ৪৯ রানের ওপর ভর করে ২১০ পর্যন্ত যেতে সক্ষম হয় অসিরা। পাকিস্তানের হারিস রউফ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ৩টি করে উইকেট নেন। এছাড়া শাহিন শাহ আফ্রিদির শিকার ২ উইকেট।
সান নিউজ/এইচএন