স্পোর্টস ডেস্ক : পাক অধিনায়ক বাবর আজম ও ইমাম-উল-হকের জোড়া সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৪৯ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করে ৬ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে ইতিহাস গড়ে জিতেছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন : বিশ্বে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ১৪ লাখ
পাকিস্তানের জয়ে ৮৩ বলে ১১৪ রান করেন অধিনায়ক বাবর আজম। আর ৯৭ বলে ১০৬ রান করেন ইমাম-উল হক।
ওয়ানডে ক্রিকেটে এটাই পাকিস্তানের রান তাড়া করে সেরা জয়। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩২৯ রান তাড়া করে জয় পেয়েছে তারা।
অজিদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হেরে বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডি ও করাচিতে ড্র করা দলটি লাহোর টেস্টে হেরে সিরিজ হারে ১-০তে।
আরও পড়ুন : কক্সবাজার হবে প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধন
টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় পড়ে যায় বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দলটি।
হারলে সিরিজ হাতছাড়া। জিতলে সিরিজে ফেরা। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়াকে কম রানে আটকে রাখতে পারেনি পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার ( ৩১ মার্চ ) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৪৮ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন : টাঙ্গাইলে পিকআপ-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২
সিরিজে টিকে থাকতে রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান। উদ্বোধনী জুটিতে ১৮.৫ ওভারে ১১৮ রান করেন তারা। ৬৪ বলে ৭টি চার ও দুই ছক্কায় ৬৭ রান করে ফেরেন ফখর জামান।
এরপর অধিনায়ক বাবর আজমকে সঙ্গে নিয়ে অনবদ্য জুটি গড়েন ইমাম। এই জুটিতেই ৯০ বলে ৬টি চার আর তিন ছক্কায় ক্যারিয়ারের ৪৯তম ওয়ানডেতে ৯ম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।
সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি ইমামুল হক। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে ধরা পরেন। তার আগে বাবর আজমের সঙ্গে গড়েন ৯২ বলে ১১১ রানের জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ৯৭ বলে ৬টি চার ও তিন ছক্কায় ১০৬ রান করেন ইমাম।
আরও পড়ুন : দুই বিমানের সংঘর্ষে নিহত ৩
ইমাম আউট হওয়ার পর মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ৮০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান বাবর আজম। জয়ের জন্য শেষ দিকে ৩৪ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪০ রান।
খেলার এমন অবস্থায় আউট হন বাবর আজম। তার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৮৫তম ম্যাচে ১৫তম সেঞ্চুরি করেন বাবর। দলীয় ৩০৯ রানে ৮৩ বলে ১১টি চার ও এক ছক্কায় ১১৪ রান করে ফেরেন বাবর।
বাবর আজম আউট হওয়ার পর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন এ উইকেটকিপার ব্যাটার।
আরও পড়ুন : লোকটার সবই আছে কিন্তু বুদ্ধি নেই
বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হওয়ার পর ইফতেখারকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন খুশদিল শাহ।
পাকিস্তানের জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। নাথান ইলিসের করা ৪৯তম ওভারে এক ছক্কা আর দুই চারে ১৮ রান আদায় করে দলের জয় নিশ্চিত করেন খুশদিল (২৭*)।
সান নিউজ/এইচএন