সান নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থানরত খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, না সাকিব আল হাসান দেশে ফিরছেন না। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি দলের সঙ্গে থাকবেন এবং তৃতীয় ওয়ানডেও খেলবেন। সাকিবের পরিবারের সদস্যদের শারীরিক অবস্থা এখন ভালোর দিকে। এ কারণে দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে সে।
আরও পড়ুন: সাকিব চাইলে দেশে ফিরতে পারবেন
আজ সোমবার (২১ মার্চ ) রাতে (বাংলাদেশ সময় ৮টার দিকে) এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের উদ্ধৃতি দিয়ে বিকেল ৫টা নাগাদ সংবাদ পরিবেশ করা হয়েছে যে, পরিবারের সদস্যদের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে দেশে ফিরে আসছেন সাকিব।
সুজন আরও বলেন, জালাল ভাই ঠিকই বলেছেন। তার দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেভাবেই তিনি মিডিয়ার কাছে বলেছেন। তবে পরে সাকিব জেনেছে, আপাতত হাসপাতালে ভর্তি তার পরিবারের সদস্যদের অবস্থা স্থিতিশীল। এ কারণে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় টিম হোটেলে বসে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় টিম লিডার খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, এখানে তো আমাদের কারোরই হাত নেই। খুবই ইমার্জেন্সি ব্যাপার, পারিবারিক ব্যাপারটা তো সব সময়ই ইমপরট্যান্ট ইস্যু। ওর জন্যও ইমপরট্যান্ট। তবে, সে টোটালি খেলতে চায়। প্রথম থেকেই সে অনেক আগ্রহী এ বিষয়ে। খুব সিরিয়াস। প্রথম ম্যাচে তো ম্যান অব দ্য ম্যাচই হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটে ভালো করেনি। বল হাতে ভালো খেলেছে। সে খেলতে চায় এবং চায় সিরিজটা জিততে। সে জানে যে তাকে ছাড়া কতটা কঠিন আমাদের জন্য এই কন্ডিশনে ডেভেলপ করা।
তবে এখন যে বিষয়টা, সাকিব স্যাক্রিফাইস করছে এ সিরিজটার জন্য। এটা খুব ভালো খবর আমাদের জন্য। আশা করি যে বাসায় ওর সব কিছু ঠিকঠাক থাকবে। ইনশাআল্লাহ সাকিব তৃতীয় ওয়ানডে খেলবে এবং আশা করি আমরা সিরিজ জিততে পারবো। এরপর হয়তো সে একটা সিদ্ধান্ত নেবে কখন যাবে না যাবে।
আরও পড়ুন: টানা চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
সাকিবের মনে তবুও যে দ্বিধা কাজ করছে না তা না। আবার একই সঙ্গে তার ঢাকায় আসার জন্য যে টিকিট বুক করতে যাচ্ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট, সেটাও জানিয়েছেন সুজন।
তিনি বলেন, একটা মেডিকেল ইমার্জেন্সি যেহেতু আছে, পরিবারের অনেক সদস্য অসুস্থ। হয়তো বা ঢাকায় ওর পরিবারের পক্ষ থেকেও কথা হচ্ছে আসা-যাওয়ার ব্যাপারে। টিকিট আমাদের প্রায়ই বুক করতে হচ্ছে ওর জন্য। আজও ওর জন্য একটা টিকিট বুক করার কথা ছিল, ওর চলে যাওয়ার কথা হচ্ছিল। ব্যাকপ্যাকও গুছিয়ে নিচ্ছিল, যে চলে যাবে আজই। তবে সাকিব নিজেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে যে সে যাবে না, থেকে যাবে। যেটা বলতে পারি যে তার যাওয়ার কথা ছিল সেটা সত্যি। বিসিবি থেকে জালাল ভাইও বলেও দিয়েছিলেন যে সাকিব চলে যাবে। তার কিছুক্ষণ পরই আবার সাকিব সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে না সে থাকবে। খেলেই যাবে। এখন সাকিব যাচ্ছে না। থার্ড ওয়ানডেটা খেলেই হয়তো চিন্তা করবো।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পর্দা উঠল
পরিবারের মোট পাঁচজন সদস্য অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সাকিব আল হাসানের। এর মধ্যে তার ছোট তিন সন্তানও রয়েছে। সঙ্গে মা এবং শাশুড়িও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের বেডে। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা প্রায় অসম্ভব সাকিবের পক্ষে।
যদিও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার চেষ্টা করছিলেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তিনি দলের সঙ্গেই থেকে যাবেন বলে জানা যাচ্ছিল। বিসিবিও জানিয়েছে, পরিস্থিতি খারাপ হলে সাকিব যে কোনো মুহূর্তেই দেশে ফিরে যেতে পারবেন। সে হিসেবে বিসিবি তাকে ছুটিও দিয়ে রেখেছিল। সে কারণে সাকিব প্রথমে দেশে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে নিজেই সেটাকে ফিরিয়ে নেন।
সান নিউজ/এনকে