স্পোর্টস ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে উপস্থিত হওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার ( ৩ মার্চ) রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেই ম্যাচে আর থাকা হয়নি। অজি কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক ব্যাটার রডনি মার্শকে হাসপাতালে নেয়ার পর জানা যায় হার্ট অ্যাটাক করেছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত ৩০
সেই ধাক্কায় প্রায় এক সপ্তাহ পর অ্যাডিলেইডের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের অন্যতম প্রভাবশালী এই ব্যক্তিত্ব। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাঙ্গনে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে রডনি মার্শ ১৯৭০-৮৪ পর্যন্ত দাপটের সঙ্গেই খেলেছেন। এ সময়ের মধ্যে ৯৬টি টেস্ট ও ৯২টি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। তৎকালীন সময়ে স্কোরকার্ডে একটি বাক্য ছিল খুব পরিচিত; ক্যাচ মার্শ বল লিলি। অর্থাৎ ডেনিস লিলির বলে ক্যাচ ধরেছেন রড মার্শ।
টেস্ট ক্রিকেটে লিলির বলে ৯৫টি ক্যাচ ধরেছেন মার্শ। যা এখনও কোনো নির্দিষ্ট বোলার-ফিল্ডার জুটির রেকর্ড। অবসরের সময় টেস্ট ক্রিকেটে মার্শের ডিসমিসাল সংখ্যা ছিল ৩৫৫টি। যা ছিল তৎকালীন বিশ্ব রেকর্ড। প্রায় ৩৮ বছর পর এখনও অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় সর্বোচ্চ ডিসমিসালের অধিকারী তিনি।
১৯৭৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকান মার্শ। যা ছিল অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসে কোনো উইকেটরক্ষক ব্যাটারের প্রথম সেঞ্চুরি। এছাড়া অ্যাশেজে তিনিই প্রথম নেন ১০০ ডিসমিসাল।
রডনি মার্শ ৯৬ টেস্টে ৩৫৫ ডিসমিসালের পাশাপাশি ৩ সেঞ্চুরি ও ১৬ ফিফটিতে করেছেন ৩৬৩৩ রান। এছাড়া ওয়ানডে ফরম্যাটে ৯২ ম্যাচে ৪ ফিফটিতে ১২২৫ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১২ সেঞ্চুরিতে ১১ হাজারের বেশি রান রয়েছে তার। যেখানে ডিসমিসাল সংখ্যা ৮৬৯টি।
রড মার্শ অবসরের পর অস্ট্রেলিয়ান টেলিভিশনে কিছুদিন ধারাভাষ্য দিয়েছেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ান ন্য্যাশনাল অ্যাকাডেমিতে কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। পরে একই দায়িত্ব পালন করেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের হয়েও।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রুশ হামলায় নিহত আরও ৩৩
২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান নির্বাচক ছিলেন তিনি। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অনন্য অবদানের জন্য ১৯৮২ সালে মেম্বার অব দ্য অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (এমবিই) লাভ করেন রড মার্শ।
আরও পড়ুন: ১৮ বাবার বাচ্চা মানুষ হয় না
১৯৮৫ সালে স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়া হল অব ফেম এবং ২০০৫ সালে ক্রিকেট হল অব ফেমেও অন্তর্ভুক্ত হন ৭৪ বছর বয়সে পরপারে পাড়ি জমানো এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দখল
প্রসঙ্গত, রড মার্শ দাম্পত্যজীবনে স্ত্রী রস মার্শ এবং ৩ সন্তান ড্যান মার্শ, পল মার্শ ও জেমি মার্শকে রেখে গেছেন। এদের মধ্যে ড্যান মার্শের অধিনায়কত্বে নিজেদের প্রথম শেফিল্ড শিল্ড জিতেছিল তাসমানিয়া। আর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী ছিলেন পল মার্শ।
সান নিউজ/ এইচএন