স্পোর্টস ডেস্ক: লিটন দাসের ফর্ম নিয়ে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছিলেন, তার ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে দলের। এই ডান-হাতি ওপেনার প্রমাণ দিতে সময় নেননি। প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা পুষিয়ে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নিজেকে মেলে ধরেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে প্রথম তিনশোর্ধ্ব সংগ্রহ এনে দিলেন। তার ১২৬ বলে ১৩৬ রানের ইনিংসে ১৬ চার ও দুই ছয়।
মুশফিক অবশ্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি। তৃতীয় উইকেটে লিটন ও মুশফিকের রেকর্ডগড়া জুটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের রান ৫০ ওভারে চার উইকেটে ৩০৬। ম্যাচে লিটন দাসের লক্ষ্য ছিল ৩৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করা। তাতেই তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘ওপেনার হিসাবে আমার দায়িত্ব হলো রান করা, বড় ইনিংস খেলা। আমার প্রথম লক্ষ্য থাকে ৩৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করা। বিশ্বাস করি, বিশ্বের যেকোনো দলের বিপক্ষে ৩৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে পারলে অন্তত ৮০ রান করতে পারব। সেভাবেই এগিয়েছি। যখন ৪০ ওভার পার করলাম, তখন আমরা চিন্তা করলাম রানটা যতটা এগিয়ে নেওয়া যায়।’
তিনি বলেন, ‘জুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি তাদের হাতে কী ধরনের স্পিনার আছে। আমি ও মুশফিক ভাই চিন্তা করেছি যতক্ষণ খেলা যায়। তাহলে পরে যারা আছে, তাদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যাবে। পরের ব্যাটাররা বেশি সুযোগ না পেলেও আমাদের পরিকল্পনায় সফল হয়েছি।’
আরও পড়ুন: নতুন সিইসি হাবিবুল আউয়াল
এক প্রশ্নের জবাবে এই ওপেনার বলেন, ‘আমরাও তো ম্যাচ খেলে উন্নতি করছি। এখন তো আমরা যারা খেলছি তারা পাঁচ বছর ধরে খেলছি। অফিফরা ২-৩ বছর ধরে খেলছে। অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা সেভাবে চিন্তা করি না। শুধু ম্যাচে কীভাবে ব্যাটিং করব সেই পরিকল্পনা সাজানোই আসল।’
আরও পড়ুন: পুলিশ এখন জনবান্ধব
লিটন কুমারের ব্যাটিং প্রতিভা নিয়ে সন্দেহ নেই। নিজের অবস্থা লিটনও বুঝতে পারেন এখন। তিনি বলেন, একটা জিনিস ভেবেছি যে, আমার উইকেটের মূল্য আছে। তো নিজের মূল্যটা দিচ্ছি। আশা করি, সামনেও দিতে পারব।’
সান নিউজ/ এইচএন