স্পোর্টস ডেস্ক: ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতক তুলে নিলেন লিটন দাস। লিটন নাকি যেই ম্যাচে ফিফটি করেন তার অধিকাংশ ম্যাচেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। লিটনের শতক এবং মুশফিকের প্রায় শত রানের ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩০৬ রান।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আফগানিস্তানের ফজল হক ফারুকির বলে লিটন এলবিডব্লু হলে রিভিউতে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে। এরপর ধীরে ধীরে উইকেটে স্থির হন।
লিটন স্থির হলেও শুরু থেকেই নড়বড়ে থাকা তামিম ইকবাল টিকতে পারেননি। ১ম ম্যাচে যেভাবে আউট হয়েছিলেন ফজল হক ফারুকির বলে, ঠিক সেভাবেই আজও এলবিডব্লু হয়ে সাজঘরে ফেরেন দলীয় ৩৮ রানের মাথায় তামিম ইকবাল বিদায় নেন ১২ (২৪) রান করে।
অধিনায়ক তামিমের ফেরার পর সাকিব আল হাসান এসে লিটনের সঙ্গে ৫৪ বলে ৪৫ রানের জুটি বেঁধেছিলেন। তবে রশিদ খান আসতেই ফিরতে হয় সাজঘরে। ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লু হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৩৬ বলে ২০ রান করে।
তামিম-সাকিবের বিদায়ের পর রেকর্ড জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। দুজনের ২০২ রান এখন বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫ম সর্বোচ্চ রান।
লিটন দাস ১২৬ বলে ১৬টি চার ও ২টি ছয়ে ১৩৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ফরিদ আহমেদের বলে মুজিব উর রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। লিটন বিদায় নিলেও শতকের পথে ছিলেন মুশফিকুর রহিম।
আরও পড়ুন: সেঞ্চুরি পেলেন লিটন দাস
কিন্তু লিটনের বিদায়ের পরের বলেই থার্ড ম্যান অঞ্চলে থাকা ফজল হকের হাতে ক্যাচ দেন ব্যক্তিগত ৮৬ (৯৩) রান করে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, অস্বীকারের সুযোগ নেই
এক ওভারে লিটন-মুশফিকের বিদায়ে শেষ দিকে রানের চাকা হয়ে যায় ধীর। শেষ পাঁচ ওভারে আসে ৩৭ রান। মাহমুদউল্লাহ ৫ (৮) ও আফিফ হোসেন ১৪ (১৩) রানে অপরাজিত থেকে ছাড়েন মাঠ।
আরও পড়ুন: ২৬ মার্চ আইপিএল শুরু
এদিকে আফগানিস্তানের পক্ষে ২ উইকেট নেন ফরিদ আহমেদ। ১টি করে উইকেট নেন ফজল হক ফারুকি ও রশিদ খান।
সান নিউজ/ এইচএন