স্পোর্টস নিউজ: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই ফরচুন বরিশাল।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হয়ে শুরুতে যে ঝড়ের সম্মুখীন হয় তারা, সেটি থেকে বের হয়ে আসার জন্য অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বেশ বাহবা পাচ্ছেন। মিরপুরে আজও উঠেছিল সুনীল নারাইন ঝড়। সে তাণ্ডব থামাতে বেশ ঠাণ্ডা মাথার অধিনায়কত্বে বোলিং অ্যাটাক সাজান সাকিব। ফলও মিলেছে তাতে। সাকিবের অধিনায়কত্ব গুনেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৫১ রানে থামাতে পেরেছে বরিশাল।
লক্ষ্যটা চ্যালাঞ্জিং হলেও নাগালের মধ্যে। নারাইন যে ঝড় তুলেছিলেন, সেটি না থামালে মহাবিপদে পড়তে হতো বরিশালকে। ফাইনালে জয়ের জন্য এখন সাকিবদের প্রয়োজন ১৫২ রান। বিপিএলে টানা ২টি ফাইনাল হারা সাকিব আক্ষেপ ঘোচাতে পারবেন, নাকি হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ পাবেন, সে উত্তর জানার জন্য অবশ্য আর খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।
এখন শিরোপা জিততে হলে বরিশালের বিপক্ষে কুমিল্লার বোলারদের জ্বলে উঠতে হবে। তবেই তারা শিরোপা জিতলেও জিততে পারে।
এর আগে বিপিএলে শেষ চার আসরে প্রথমে যে দল ব্যাট করেছিল সে দলই জয় পেয়েছিল। এখন কুমিল্লা যদি এই অল্প রানও ডিফেন্ড করতে পারে তাহলে বিপিএলে টানা পঞ্চমবারের মত রান ডিফেন্ড করে জয়ের দেখা মিলবে। এখন প্রশ্ন হলো কুমিল্লা সেটি পারবে কিনা।
কারণ কুমিল্লা খুব বেশি রান করতে পারেনি। উল্টো বিপিএলের ফাইনালের ইতিহাসে প্রথমে ব্যাট করে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান করার লজ্জার রেকর্ড গড়েছে তারা।
প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটি ছিল বরিশাল বুলসের। ২০১৫ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ১৫৬ রান করেছিল বুলস। ম্যাচটি কুমিল্লা শেষ বলে গিয়ে জিতেছিল।
আর এবার কুমিল্লাই করল ১৫১ রান।
উল্লেখ্য, এর আগে ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে সবচেয়ে কম রান করেছিল বরিশাল বার্নার্স। ২০১২ সালের ফাইনালে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে মাত্র ১৪৪ রানেই থেমেছিল বরিশাল বার্নার্স। সে ম্যাচটি ঢাকা জিতে নিয়েছিল সহজেই।
সাননিউজ/এমআরএস