ক্রীড়া প্রতিবেদক:
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লিগ চালু হয়ে গিয়েছে ইতোমধ্যেই। করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মাঝেই মাঠে শুরু হয়েছে ফুটবল। তবে এক্ষেত্রে এখনো ব্যতিক্রম দক্ষিন এশিয়া এবং বাংলাদেশ। ভাইরাসের প্রকোপ যেমন বাড়ছে দিনদিন তেমনি আশা ফিকে হচ্ছে দ্রুত মাঠের খেলা শুরু হওয়ারও।
এর মাঝেই বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২-এর বাছাই পর্বের ম্যাচের দিনক্ষণও ঘোষণা করেছে ফিফা। যে ঘোষণা অনুযায়ী আগামী অক্টোবরে হোম ও অ্যাওয়ে মিলিয়ে দুটি এবং নভেম্বরে দুটি হোম ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
৮ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। ১৫ অক্টোবর অ্যাওয়ে ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে কাতারের বিপক্ষে। এরপর ১২ নভেম্বর ভারত ও ১৭ নভেম্বর ওমানের বিপক্ষে আছে ঘরের মাঠে দুটি ম্যাচ।
আর এসব ম্যাচের প্রস্তুতি নিতেই এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দ্রুত অনুশীলন শুরুর আহ্বান জানাচ্ছেন ফুটবলাররা।
বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাইয়ে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত খেলেছে ৪টি ম্যাচ। একটি মাত্র পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে কলকাতার সল্টলেকের ম্যাচে ড্র করে সেই একটি পয়েন্ট পেয়েছিল লাল-সবুজের দল।
ফেডারেশনের অফিসিয়াল হোয়াটস অ্যাপ পোর্টালে দ্রুত অনুশীলন শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন ডিফেন্ডার তপু বর্মন ও রক্ষণভাগের আরেক খেলোয়াড় বিশ্বনাথ ঘোষ। দুজনেরই ভাষা, বিশ্বকাপের বাছাই সূচি যেহেতু ঘোষণা হয়ে গিয়েছে সেক্ষেত্রে দ্রুত অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করলে তারা প্রস্তুতিটা ভালভাবে নিতে পারবেন।
কিছুদিন আগে একই রকম ভাবে সোহেল রানা ও আব্দুল্লাহকে দিয়েও এমন আহ্বান হোয়াটসঅ্যাপ মাধ্যমে দিয়েছিল ফেডারেশন।
অথচ এই ফেডারেশনেরই জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছিলেন আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে তাদের অনুশীলন শুরুর পরিকল্পনা আছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি সম্পূর্ণভাবে মেনে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হবে। আর নতুন চুক্তির পর জেমি ডে সহ অন্যান্য কোচদের এই অনুশীলনে যোগ দিতে আগস্টের মাঝামাঝি দেশে আসার কথা রয়েছে।
তাই তো প্রশ্ন, যেখানে বাফুফের কর্মকর্তারা পরিষ্কারভাবে অনুশীলন শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন সেখানে সেই ফেডারেশনই আবার তাদের ফুটবলারদের দিয়ে কেনই বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত অনুশীলন শুরুর আহ্বান জানাবেন?
সান নিউজ