স্পোর্টস ডেস্ক:
অস্ট্রেলিয়ার অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ার কথা এবারের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এহসান মানি মনে করেন এবার এই টুর্নামেন্ট হওয়া সম্ভব না। করোনাকালীন বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এই কথা বলেন তিনি। টুর্নামেন্ট অন্তত এক বছর পিছিয়ে যাওয়ার আশংকাও জানান তিনি।
অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি’র গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্য বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড খুব দক্ষতার সাথে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ মোকাবেলা করেছে। তারপরও বাস্তবতার নিরিখে অস্ট্রেলিয়ায় এবারের টুর্নামেন্ট হওয়া সম্ভব না। উদাহরণ টেনে মানি বলেন, পাকিস্তান দল ইংল্যান্ড যাবে সিরিজ খেলতে। সেখানে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের প্রথমে আইসোলেশনে থাকতে হবে। এরপর ম্যাচ খেলতে হবে দর্শকশূণ্য ভেন্যুতে। এমনকি হোটেলের বাইরে কোথাও যাওয়া যাবে না। এমন সূচি একটি বা দুটি দলের জন্য হতে পারে। কিন্তু বিশ্বকাপের মতো আসরে যেখানে ১২ থেকে ১৬টি দল খেলবে সেখানে এমনভাবে ম্যাচ খেলানোর পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত হবে না।
মঙ্গলবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান আর্ল এডিংসও এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সম্ভাব্যতা নিয়ে সন্দেহ জানিয়েছিলেন। গত দুই মাসে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এজেন্ডাতে বেশ কয়েকটি সভা করেছে। তবে সংস্থাটি এ ব্যাপারে এখনো কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
মানি বলেন, ২০২০, ২০২১ ও ২০২৩ সালে আইসিসি ইভেন্টের সূচি আছে। তাই এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ করা সম্ভব না হলে তা ফাকা বছরটাতে করা যেতে পারে। অবশ্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান তার কথায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এবারের টুর্নামেন্ট পিছিয়ে আগামী বছর এবং ২০২১ সালে ভারতে নির্ধারিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে পরের বছর করার। অবশ্য যে সিদ্ধান্তই নেয়া হোক না কেন, ব্রাডকাস্টার, আর্থিক বিষয়সহ নানা দিক চিন্তা করে এমন সব ইভেন্টের সূচি ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছে আইসিসি।
সান নিউজ