স্পোর্টস ডেস্ক:
জাতিকে একীভূত ও অনুপ্রাণিত করতে ৫ বছরের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে আজ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পিসিবি। আর এজন্য ৬টি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তারা। নিজেদের ওয়েবসাইটে এ উপলক্ষ্যে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
১১টি টেস্ট খেলুড়ে ও অন্যান্য যেসব দেশ আইসিসি’র সহযোগী সদস্য হিসেবে কাজ করে তাদের মধ্যে অন্যতম সেরা বোর্ড হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে গত ২০১৯-এ পাচ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছিল পিসিবি। তবে তাদের লক্ষ্যের কথাগুলো প্রকাশ হলো আজ।
যে ৬টি ক্ষেত্রে তারা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সেগুলো হলো:
- সঠিক সময়ে নিজেদের সম্পদ বিবেচনা করে কাজ করার জন্য টেকসই কর্পোরেট পরিচালনা পর্ষদ গঠন।
- ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে প্রতিভাধর ক্রিকেটার বাছাই করে তাদের হাই পারফরম্যান্স ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে বিশ্ব মানের আন্তর্জাতিক দল গঠন।
- তরুণ ও সম্ভাবনাময় ক্রিকেটারদের সামনে নানা ধরণের সুযোগ উন্মোচন।
- নারী ক্রিকেটের মাধ্যমে জাতিকে এই খেলার প্রতি উৎসাহ দেয়া
- পিসিবি এবং বোর্ডের অধীনে থাকা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনগুলো যাতে লক্ষ্য নির্ধারণ করে পরিকল্পনা মতো কাজ করতে পারে সেজন্য বাণিজ্যিক রাজস্ব আয়ের পথ তৈরি।
- পাকিস্তান সুপার লিগ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন ও আইসিসি সদস্যভুক্ত দেশগুলোর বোর্ডের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখা
পিসিবি’র প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান বলেন, ২০১৯ থেকেই আমরা ৫ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। কিন্তু বোর্ডের সব পরিচালকদের অনুমতির পরই এই পরিকল্পনা প্রকাশ করা হলো। ২০২৩ সাল পর্যন্ত যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা নানা কাজ শুরু করেছি সেগুলোর কিছু সাফল্য আমরা ইতোমধ্যেই দেখতে পেয়েছি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গত বছর পিসিবি’র যেসব সাফল্যের কথা আছে সেগুলো হলো:
- পিসিবি পরিচালক দ্বারা বোর্ডের সংবিধান, ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন উন্নয়ণ পরিকল্পনা ও সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সংবিধান সহ দাপ্তরিক নানা সিদ্ধান্ত অনুমোদন
- ঘরোয়া ক্রিকেট অবকাঠামো পুনর্গঠন
- পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য উচ্চ মানের যোগ্যতাসম্পন্ন কোচিং প্যানেলে নিয়োগ
- পিএসএল এর পুরো টুর্নামেন্ট, ৪৮ বছর পর এমসিসি দলের এবং ১০ বছর পর টেস্ট ক্রিকেটের পাকিস্তানে ফেরা
- আইসিসি’র বিভিন্ন কমিটিতে এহসান মানি, ওয়াসিম খান, সালমান নাসির ও সানা মিরের অন্তর্ভূক্তি
সান নিউজ