স্পোর্টস ডেস্ক:
ঘরের মাঠ ট্রেনিং গ্রাউন্ড আলফ্রেডো ডি স্টেফানো, তবে দর্শকবিহীন। পরিচিত এই ভেন্যুতেই লা লিগার ম্যাচে এইবারের বিপক্ষে দূর্দান্ত শুরু রিয়াল মাদ্রিদের।
ম্যাচের ৪ মিনিটেই লিড নেয় রিয়াল। ডি বক্সের ঠিক ভেতরে প্রায় ১৮ গজ দূর থেকে জোরালো শটে গোল করেন টনি ক্রুস।
রিয়ালের ব্যবধান দ্বিগুণ হয় ৩০ মিনিটে। এবারে গোলদাতা সার্জিও রামোস। যেখানে এইবার গোলরক্ষক মিত্রোভিচকে একা পেয়েও সতীর্থকে দিয়ে গোল করান এডেন হেজার্ড।
মিনিট সাতেক পর এবার মার্সেলোর সাফল্য। ডান প্রান্ত থেকে আক্রমণে হেজার্ডের শট ফেরান মিত্রোভিচ। এইবারের রক্ষণও পারেনি বল ক্লিয়ার করতে। বল পেয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল করেন মার্সেলো।
বিরতির আগেই তিন গোলের লিডে জয়টা ছিল নিশ্চিতই। তাই হয়তো দ্বিতীয়ার্ধে একটু অগোছালো রিয়াল।
ভাগ্যগুণেই অবশ্য ম্যাচে একমাত্র গোলটি পায় এইবার। কর্ণার থেকে পাওয়া বলে সার্গেই একরিক শট নেন। বিগাসের পিঠে লেগে তা দিক পরিবর্তন করে রিয়াল গোলরক্ষক কোয়ের্তোকে বোকা বানায়।
গ্যারেথ বেলকেও এদিন খেলিয়েছেন কোচ জিদান। তবে ম্যাচের শেষ ৩০ মিনিট। অবশ্য বলার মতো কোন নৈপুণ্যই দেখাতে পারেননি বেল।
কোচ জিনেদিন জিদানের ২০০তম ম্যাচে রিয়ালের জয়। কারণ করোনা ভাইরাসের কারণে লিগের খেলা বন্ধ হওয়ার আগে রিয়াল বেটিসের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। আর ম্যাচ জিতে বার্সেলোনার সাথে শিরোপা রেসটাও জমিয়ে রাখলো রিয়াল মাদ্রিদ। অবশ্য ৫৯ পয়েন্ট হলেও টেবিলে এখনো দুইয়ে রিয়াল।
লা ব্লাঙ্কোদের পরের ম্যাচ বৃহস্পতিবার ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে। রাতের অন্য ম্যাচে অ্যাথলেটিক ক্লাব ১-১ গোলে ড্র করেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে। একই ফলাফল রিয়াল সোসিয়েদাদ এবং ওসাসুনার ম্যাচেও।
সান নিউজ