ক্রীড়া ডেস্ক: আফগানদের উড়িয়ে নিজেদের ভাগ্য ঝুলিয়ে রাখলো ভারত। উড়ন্ত আফগানের কালকের খেলায় জন্ম দিয়েছে অনেক কিন্তুর। এসব কিন্তু নিয়ে মুখ খুললেন অধিনায়ক মুহাম্মদ নবী। ঝড়ের ঝাপ সামলালেন রশিদও।
সুপার টুয়েলভের প্রথম তিন ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করে দুটিতেই জয়ের দেখা পায় আফগানিস্তান। আগে ব্যাট করায় তারা বরাবরই স্বচ্ছন্দ। কিন্তু চেনা কৌশল ও সাফল্যের পথ থেকে সরে এসে ভারতের বিপক্ষে কেন আগে বোলিং করলো উঠছে প্রশ্নের ঝড়।
এই বিশ্বকাপে অবশ্য টস জিতলে আগে বোলিং করাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশির ভাগ ম্যাচেই পরে ব্যাট করা দলই জিতে চলেছে। তবে আফগানরা এগোচ্ছিল ভিন্ন কৌশলে। আগে ব্যাট করেই তারা হারায় স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়াকে। পাকিস্তানের কাছে হেরে গেলেও জয়ের মতো অবস্থায় ছিলো শেষ ২ ওভার আগেও।
ভারতের বিপক্ষে বুধবার টস জিতে তারা আগে নেয় বোলিং। সেই কৌশল মার খায় প্রবলভাবে। ভারত ২১০ রানে পাহাড় গড়ে আফগানদের হারায় ৬৬ রানে।
ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী, সংবাদ সম্মেলনে উঠল আগে বোলিংয়ের কৌশল নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনা তুমুল।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই আফগান অধিনায়ক নবি তার সিদ্ধান্তের কারণ জানান টিভিতে প্রতিক্রিয়ায়।
শিশিরের কারণে আমরা পরে ব্যাট করতে চেয়েছি। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য সত্যিই খুব ভালো ছিলো। পরে অবশ্য, খুব বেশি শিশির পড়েনি। তবে ভারত দুর্দান্ত ব্যাট করে আমাদের বোলারদের চাপে ফেলে দেয়। আমাদের বাটিংয়ের সময়ও উইকেট খুব ভালো ছিলো। কিন্তু আমরা দ্রুত উইকেট হারাই, প্রান্ত বদল করতে পারিনি এবং চাপে পড়ে যাই।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসেন রশিদ খান। তার কাছেও প্রথম প্রশ্ন ছুটে যায় আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েই। এই লেগ স্পিনার কারণ হিসেবে শিশিরের পাশাপাশি বললেন প্রতিপক্ষের চাপে থাকা কাজে লাগানোর কথাও।
এই উইকেটে ১৭০, ১৮০ রান তাড়া করার মতো (আমাদের জন্য), কিন্তু বাড়তি ওই ৩০ রানৃ ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ অনেক শক্তিশালি। তারা শেষ তিন-চার ওভার কাজে লাগিয়ে দলের রানটাকে ২০১ পর্যন্ত নিয়ে গেছে।
আমাদের ভাবনা ছিলো প্রথম দুই ম্যাচে ভারত ব্যাটিংয়ে ধুঁকেছে। কাজেই যেখানে ওদের ভোগান্তি হচ্ছে, আমরা শুরুতেই ওদের এই জায়গায় টার্গেট করব। সফল হলেই আমরা জিততে পারতাম। কিন্তু ওরা খুব ভালো ব্যাটিং করে ২১০ রান করে ফেলে। এই উইকেটে যা অন্তত ২০-২৫ রান বেশি। কৃতিত্ব ওদেরই।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম থেকেই আগ্রাসী ব্যাট করে সফল হয় ভারত। রশিদ বললেন, লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা শুরুটা ভালো করার পর তাদেরকে থামানো ছিলো কঠিন।
আগে বোলিংয়ের পেছনে মূল ভাবনা ছিলো সেটিই (চাপে থাকা ভারতীয় ব্যাটিংকে চেপে ধরা)। আমরা চেষ্টা করেছি এটা কাজে লাগাতে। কিন্তু ওরা পেশাদার দল, আমাদেরকে ম্যাচের লাগাম নিতে দেয়নি।
ওরা শুরুটা দারুণ করে এবং পরে শেষটাও খুব ভালো করে। ভারতের মতো দল যখন নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায় একবার, দুইশর নিচে ওদের থামানো কঠিন। দল হিসেবে আমরা চেষ্টার কমতি রাখিনি।
সান নিউজ/এফএআর