ক্রীড়া প্রতিবেদক: বাংলাদেশের দেখানো পথেই যেন হাটছে ভারত। এরই মধ্যে বিশ্বকাপ থেকে কার্যত ছিটকে গেছে বাংলাদেশ, একই পথে শ্রীলঙ্কাও। দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রিকেটের দাদাদের দল ভারতও পর পর দুই ম্যাচে নাস্তানাবুদ। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই চরম ব্যর্থ তারা।
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বোলার-ব্যাটারদের কাছে হারে বিরাটদের দল। পরের ম্যাচে ১১০ রানেই থমকে যায় ভারতের ক্রীড়ারথ। ফলে দুই ম্যাচে ১০ ও ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারে বিরাট কোহলির দল।
এই তো কদিন আগেই একই মাঠে আইপিএল খেলেছে চলতি বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ভারতের ক্রিকেটাররা। সমালোচকদের প্রশ্নের জেরে নিজেদের ব্যর্থতার দায় আইপিএলের কাঁধেই একরকম যেন চাপাতে চাইলেন ভারতীয় পেসার জসপ্রীত বুমরাহ।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শোচনীয় পরাজয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে কোহলির বদলে বুমরা হাজির হন।
জসপ্রীত বুমরাহ বললেন, অনেক সময় বিরতির প্রয়োজন হয়। দীর্ঘ ৬ মাস খেলার মাঝে রয়েছি। এই সময় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো প্রয়োজন।
ভারতের এই বোলার বলেছেন, সবাই নিরাপদ স্কোর চেয়েছিলো। যেহেতু শিশিরের কারণে এই পিচে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা সহজ, তাই ১০-২০ রান বেশি করার চেষ্টা ছিলো। বোলারদের সাহায্য করার জন্যই ব্যাটাররা তা করতে চেয়েছিলো। কিন্তু মারতে গিয়ে পর পর উইকেট হারাতে হয়েছে।
এর পর টসভাগ্যকেও দায়ী করে বুমরা বলেন, আগের ম্যাচে আমরা দেখেছিলাম যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা সহজ হয়ে গিয়েছিলো। আজ বল করার সময় আমাদের লেংথ বলগুলো সেভাবে কাজে লাগেনি। কিন্তু ওরা বল করার সময় সেই বল ঠিকমতো ব্যাটে আসছিলো না। সে কারণেই আমরা আগে ব্যাট করতে নেমে বেশি রান করার চেষ্টায় আক্রমণাত্মক ব্যাট করছিলাম। আর একের পর এক উইকেট দিয়ে এসেছি। টস খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে নিলো।
ক্লান্তি চলে এসেছে এমন মন্তব্য করে বুমরা বলেন, খেলোয়াড়দের বিশ্রামের দরকার হয়। (আইপিএল ও অন্যান্য সূচির কারণে) টানা ছয় মাস খেলতে থাকা সহজ কথা নয়। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর প্রয়োজন হয়। সেটি মনের মধ্যে চলতে থাকে। যদিও মাঠে নামলে সেটি ভাবা উচিত নয়, চলেও না। বিসিসিআই চেষ্টা করেছে আমাদের সাহায্য করতে। কিন্তু সূচি কী হবে সেটি আমাদের হাতে থাকে না। জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকলে মানসিক ক্লান্তি আসবেই। কিছু করার নেই আমাদের।
সান নিউজ/এফএইচপি