সান স্পোর্টস ডেস্ক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে ক্রিকেটের ভবিষ্যত। অধিকাংশ দেশেই লকডাউন কার্যকর হওয়ায় পিছিয়ে গেছে একের পর এক আয়োজন। সামনেও অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্টগুলো হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আইসিসি। তবে পরিস্থিতির আশু উন্নতি না ঘটলেও যাতে তা মেনেই জনপ্রিয় এই খেলাটি চালিয়ে নেয়া যায় সেজন্য বেশ কিছু নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির নির্বাহী কমিটি।
আইসিসির নতুন আইনে বলা হয়েছে, কোনো ক্রিকেটার বলে থুতু লাগালে প্রতি ইনিংসে দুইবার সেই দলকে সতর্ক করা হবে। এরপরেও ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে তখন পেনাল্টি হিসেবে ৫ রান যুক্ত হবে ব্যাটিং টিমের স্কোর বোর্ডে। তাছাড়া থুতু ব্যবহার করলে, সেই বল পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত খেলা চালু করা হবে না। টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন কোনো ক্রিকেটারের যদি করোনা ধরা পড়ে, তবে সেই দল বদলি ক্রিকেটার নিতে পারবে। এক্ষেত্রে নিয়মাবলী হবে 'কনকাশন সাব' এর মতো।
যে ক্রিকেটারের বদলি আনা হবে, তাকেও একই ক্যাটাগরির হতে হবে। যেমন ব্যাটসম্যানের বদলি হিসেবে ব্যাটসম্যানই নিতে হবে, বোলার কিংবা উইকেটকিপার নেওয়া যাবে না।
তবে এই নিয়ম শুধু টেস্টে প্রযোজ্য হবে। ওয়ানডে আর টি টুয়েন্টিতে বদলি ক্রিকেটারের প্রথা থাকছে না। আলোচনায় ঠিক হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঘরোয়া আম্পায়ারদের দিয়ে কাজ চালানো হবে। কারণ যাতায়াতের ক্ষেত্রে এখনও অনেক দেশে বিধিনিষেধ আছে। এটা কতদিন থাকবে তা অনিশ্চিত।
আম্পায়ার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও আইসিসির নির্দেশনা আছে। স্থানীয় আম্পায়ার দিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করা যাবে, তবে সেই আম্পায়ার অবশ্যই আইসিসির এলিট প্যানেলের হতে হবে। আইসিসি মনে করছে অনেক ক্ষেত্রে কম অভিজ্ঞ আম্পায়াররা দায়িত্বে থাকলে ভুল সিদ্ধান্তের পরিমাণ বেড়ে যাবে। এই সমস্যা সমাধানে বাড়ানো হচ্ছে ডিআরএস কিংবা রিভিউয়ের সংখ্যা। টেস্টে এখন থেকে ডিআরএস নেওয়া যাবে ৩ বার। সাদা বলের ক্রিকেটে নেওয়া যাবে ২ বার।