ক্রীড়া প্রতিবেদক: এমন হার ভাবতেও পারেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। যেখানে তাদের থলিতে রয়েছে রোনালদোর মত মাঠ কাঁপানো খেলোয়াড়। সেই দল কিনা ৫ শূন্যে বিধ্বস্ত হবে? ইপিএলে সেই অঘটনটি ঘটালো লিভারপুল। সালাহ’র উড়ন্ত দিনে অস্তিত্ব হুমকিতে ছিলেন রোনালদো।
ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ড। এ ম্যাচকে সাক্ষাৎ 'নাইটমেয়ার' বলে বিছানায় কাঁথামুড়ি দিয়েছেন ম্যানইউ সমর্থকরা।
অলরেডদের তারকা মোহামেদ সালাহর হ্যাটট্রিকে ৫-০ গোলের বিশাল জয় ছিনিয়ে নিয়েছে লিভারপুল।
এদিন ম্যানইউ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ছিলেন একেবারেই অনুজ্জ্বল।
ইউনাইটেডের মাঠে শুরুতেই দাপট দেখিয়ে খেলেছেন ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। যে কারণে লিডটাও এসেছে শুরুর ৫ মিনিটেই।
ম্যানইউর ডি-বক্সের কাছেই ছিলেন সালাহ। বল পেয়ে নিজে শট না নিয়ে নাবি কেইটাকে বাড়ান তিনি। সেখান থেকে সহজেরই ম্যানইউর জালে বল জড়িয়ে দেন আফ্রিকার এ মিডফিল্ডার।
লিভারপুল পরের গোলটাও ৭ মিনিট পরেই। ইউনাইটেড রক্ষণে হ্যারি ম্যাগুয়েয়ার ও আর লুক শর ভুলে এবার প্রথম গোলদাতা কেইটার পাস থেকে গোল করেন ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার আর্নল্ড।
এর পর ফুটবলবিশ্ব দেখল মোহামেদ সালাহর ভেলকি। ৩৮ মিনিটে গোল করে দলকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন সালাহ। সেই কেইটার ক্রস থেকে গোল করে রেকর্ডবুকে নাম লেখান মিসরীয় ফরোয়ার্ড। ওল্ড ট্র্যাকফোর্ডে টানা তিন ম্যাচে গোল করা প্রথম লিভারপুল ফরোয়ার্ড হয়ে যান সালাহ।
রেকর্ড গড়েই সন্তুষ্ট হননি সালাহ। বিরতির আগে করে বসেন আরও একটা গোল।
৪-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ম্যানইউ।
জোড়া গোল করে বিরতিতে যাওয়ার পর সালাহর সামনে হ্যাটট্রিকের সুযোগ বলে আলোচনা করছিল।
ঠিক সেটিই হলো।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ৫ মিনিট খেলেই সমর্থকদের উল্লাসে ভাসালেন সালাহ।
৫০ মিনিটে জর্ডান হেন্ডারসনের পাস থেকে হ্যাট্রিকটা সম্পন্ন করেন লিভারপুলের সেরা তারকা।
স্কোরলাইন তখন ৫-০! এমন লজ্জার হারে আরও একটি দাগ জুটিয়ে দিলেন ম্যানইউর স্ট্রাইকার পল পগবা। ৬০ মিনিটে কেইটাকে কড়া ট্যাকল করে লালকার্ড দেখেন পগবা।
দশ জনের দল হয়ে পড়লে গোল পরিশোধের কোনো সুযোগ পায়নি ইউনাইটেড।
এ ফলের পর ৯ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুল উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। তাদের চেয়ে এক পয়েন্টে এগিয়ে চেলসি আছে শীর্ষে। আর রেড ডেভিলরা ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে পয়েন্ট টেবিলের সাতে।
সান নিউজ/এফএআর