ক্রীড়া ডেস্ক: ধারহীন বার্সেলোনায় যোগ দিচ্ছেন সের্হিও আগুয়েরো। মেসি ও নেইমারকে হটিয়ে দলটি এখন এক নখ-দাঁতহীন দলে আশার সঞ্চার করতে চাচ্ছেন তিনি।
চলতি আন্তর্জাতিক বিরতির পর লা লিগায় আগামী রোববার (১৭ অক্টোবর) ভালেন্সিয়ার মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। এই ম্যাচ দিয়ে নতুন ক্লাবের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে আগুয়েরোর।
ম্যানচেস্টার সিটিতে চুক্তির মেয়াদ শেষ করে গত জুলাইয়ে ফ্রি ট্রান্সফারে বার্সেলোনায় যোগ দেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। ইংলিশ ক্লাবটিতে তিনি দারুণ সফল। ১৮৪ গোল করে প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। আর ২৬০ গোল নিয়ে সিটির ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ গোলদাতা।
কাম্প নউয়ে তার আগমনে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছিলো, তা অবশ্য দ্রুতই উবে যায় গত আগাস্টে লিওনেল মেসি ক্লাব ছাড়ায়। জাতীয় দলে তারা দুজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ক্লাবেও একসঙ্গে খেলার আশায় ছিলেন আগুয়েরো। সেটা হয়নি, উল্টো প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে ডান পায়ের পেশিতে চোট পেয়ে ছিটকে যান তিনি।
ওই চোটের পর গত সোমবার প্রথমবারের মতো আগুয়েরো দলীয় অনুশীলনে ফেরেন। বুধবার বার্সেলোনার হয়ে একটি ‘আনঅফিসিয়াল’ ম্যাচ খেলে গোলও করেন।
আন্তর্জাতিক বিরতির আগে সবশেষ ম্যাচে লা লিগায় আতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠে ২-০ গোলে হেরেছিল রোনাল্ড কুমানের দল। সেই হতাশা কিছুটা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে। রয়টার্সের বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ম্যাচে বদলি হিসেবে নামতে পারেন আগুয়েরো।
তার ফেরাটাকে বার্সেলোনার জন্য আদর্শ সময় মনে করা হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ ছয় ম্যাচের মধ্যে দলটি জিতেছে কেবল একটি, চারটিতে পায়নি জালের দেখা। গুরুত্বপূর্ণ ফিনিশারদের একজন আগুয়েরোকে দিয়ে গোলের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে দলটি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্বে প্রথম দুই ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখ ও বেনফিকার বিপক্ষে বার্সেলোনা হেরেছিল ৩-০ গোলে, এর কোনোটিতে একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা। আর লা লিগায় আতলেতিকোর গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাকের পরীক্ষা নিতে পারে কেবল দুইবার।
বার্সেলোনা আশা করতে পারে, আগুয়েরো সম্ভাব্য সুযোগগুলো কাজে লাগাবেন এবং বর্তমানে তারা যে লম্বা ক্রসের মাধ্যমে খেলার চেষ্টা করছে, সেটার বদলে ছোট-ছোট পাসে খেলায় ফিরতে দলকে সাহায্য করবে পারবেন।
যদিও গত এক বছরে ফিটনেস সমস্যায় বেশ ভুগতে হয়েছে আগুয়েরোকে। দুইবার হাঁটুর চোট, করোনাভাইরাস মহামারীর বিরতিসহ অনেক ধাক্কা সামলাতে হয়েছে তাকে।
৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার মেসির সঙ্গে খেলার আশায় বার্সেলোনায় পা রেখেছিলেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা সম্ভব হয়নি। তাতে নিজের লক্ষ্য থেকে অবশ্য একটুও সরে যাননি তিনি। স্প্যানিশ পত্রিকা ‘এল পাইস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন, দলের জন্য সবসময় সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি।
বার্সা ভালো করুক কিংবা খারাপ, সবসময়ই বেশিরভাগ খেলোয়াড় এই জার্সি পরতে চায়। আমি লিওর (মেসি) সঙ্গে খেলার আশা নিয়ে এসেছিলাম, যেন দলের শক্তি আরও বাড়ে, সেটাই ক্লাবের চাওয়া ছিলো...মাঠে নামলেই গোল করে দলকে সহায়তা করার চেষ্টা করব। মেসির চলে যাওয়াসহ দলে যতই পরিবর্তন আসুক না কেন, আমি দলকে সাহায্য করে যাব।
লা লিগায় সাত ম্যাচে তিনটি করে জয় ও ড্রয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে আছে বার্সেলোনা।
সান নিউজ/এফএআর