ক্রীড়া ডেস্ক: ইতালির ৩৭ ম্যাচের অজেয় যাত্রা থামিয়ে দিলো স্পেন। মধুর প্রতিশোধ নিয়ে লুইস এনরিকের দল পৌঁছে গেলো নেশন্স লিগের ফাইনালে।
সান সিরোয় বুধবার (৬ অক্টোবর) রাতের সেমি-ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে স্পেন। প্রথমার্ধে জোড়া গোলে সফরকারীদের চালকের আসনে বসান ফেররান তরেস। শেষ দিকে একটি গোল শোধ করেন লরেন্সো পেল্লেগ্রিনি। দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা অবশ্য ১০ জন নিয়ে খেলে স্বাগতিকরা।
মিলানের এই মাঠে এবারই প্রথম হারলো ইতালি। আর সব মিলিয়ে বিশ্ব রেকর্ড ৩৭ ম্যাচ পর হারের তেতো স্বাদ পেল রবের্তো মানচিনির দল।
চোটের জন্য দুই দলই শক্তি হারিয়েছে আক্রমণে। গোলের সংখ্যাতেই আছে এর ছাপ। এই ম্যাচে নামার আগে দুই দলেরই কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ গোল স্রেফ ১০টি করে! মাঠে অবশ্য এর প্রভাব পড়েনি খুব একটা। আক্রমণের পসরা মেলে প্রাণবন্ত ফুটবলই উপহার দিয়েছে দুই দল।
ম্যাচে ৭৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে স্পেন গোলের জন্য শট নেয় ১৩টি, যার চারটি ছিলো লক্ষ্যে। আর স্বাগতিকদের আট শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিলো।
গত জুলাইয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে টাইব্রেকারে স্পেনকে হারায় ইতালি। পরে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপাও জিতে নেয় তারা। ডাবল জেতা হলো না মানচিনির দলের। নেশন্স লিগে তাদের যাত্রা থেমে গেল শেষ চারেই।
ম্যাচে প্রথম সুযোগটা ইতালিই পায়। তবে ফেদেরিকো চিয়েসার দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে দেন উনাই সিমোন।
স্বাগতিকদের আক্রমণের ঝাপটা সামলে ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নেয় স্পেন। পঞ্চদশ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় তারা। মার্কোস আলনসোর ক্রস বিপজ্জনক জায়গায় পেয়ে যান পাবলো সারাবিয়া। তবে তার শট ঠেকিয়ে ইতালির ত্রাতা আলেস্সান্দ্রো বাস্তোনি।
এর দুই মিনিট পরেই তরেসের দারুণ ফিনিশিংয়ে এগিয়ে যায় স্পেন। মিকেল ওইয়ারসাবালের কাছ থেকে অস্বস্তিকর উচ্চতায় বল পেলেও ঠিকই জাল খুঁজে নেন ম্যানচেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ড।
১৯তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ হতে বসেছিলো। আলনসোর শট জানলুইজি দোন্নারুম্মার গ্লাভস থেকে ফস্কে গিয়ে লাগে পোস্টে। কয়েকগজ দূর থেকে কোনোমতে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান লিওনার্দো বোনুচ্চি।
৩৪তম মিনিটে ইতালির একটি চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় পোস্ট লেগে। ফেদেরিকো বের্নারদেস্কির শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন সিমন। যতটা চেয়েছিলেন ততটা দূরে পাঠাতে পারেননি, বল লাগে পোস্টে।
পরের মিনিটে সমতা আনার দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন লরেন্সো ইনসিনিয়ে। গোলরক্ষককে একা পেয়েও ১২ গজ দূর থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি।
৪২তম মিনিটে বড় একটি ধাক্কা খায় ইতালি। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বোনুচ্চি।
এক জন কম নিয়ে খেলা ইউরো চ্যাম্পিয়নরা আরও পিছিয়ে যায় প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। ওইয়ারসাবালের চমৎকার ক্রসে অরক্ষিত তরেস নিখুঁত হেডে খুঁজে নেন জাল।
এই গোলে আর্লিং হলান্ডের পাশে বসলেন তিনি। নেশন্স লিগে দুই জনেরই গোল ছয়টি করে।
সান নিউজ/এফএআর