ক্রীড়া ডেস্ক: প্রিয় শিষ্যকে হারিয়ে এমনিতেই অস্বস্তিতে আছেন বার্সেলোনার কোচ রোনাল্ড কোম্যানের। এখন ক্লাবটিও যাচ্ছে তা অবস্থা। নিজের চাকরি নিয়েই চলছে ঝড়। তারপরও মেসির কথা ভুলতে পারছেন না কোম্যান।
ক্লাবটির সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসির চলে যাওয়ার পর যেন সব দায় এসে পড়েছে তার ঘাড়ে। এদিকে, একের পর এক হারে লেজে-গোবরে অবস্থা কাতালোনিয়ার ক্লাবটির। দলের এমন দুর্দিনে কোম্যানের চাকরি নিয়েও টানাটানি শুরু হয়ে গেছে।
বার্সেলোনায় কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিতর্কের নিশানায় কোম্যান। প্রথমবার সমর্থকদের চক্ষুশূল হয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজকে বিদায় করে। এরপর দলের সবচেয়ে বড় তারকা মেসি ক্লাব ছাড়ার পর যেন মাথার ওপর থেকে ছায়াটাই সরে গেছে তার।
এদিকে, আর্থিক সমস্যায় ডুবতে বসা বার্সা কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা থাকলেও হুট করেই এখন কোচ পাল্টাতে পারছে না। কারণ চুক্তির মেয়াদ ফুরোনোর আগেই কোচ বদলালে গুণতে হবে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূর। এছাড়া বিকল্প কোচও তো খুঁজতে হবে। আবার নতুন কোচের বেতনও জোগাড় করতে হবে। তবে ফুটবল বিষয়ক সাইটগুলোর সূত্র বলছে, আগামী সপ্তাহেই হয়তো চাকরি হারাতে যাচ্ছেন কোম্যান।
দলের জয়-পরাজয় ও নিজের চাকরি সব মিলিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামলানোই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে কোম্যানের জন্য। প্রতিদিনই সাংবাদিকদের তীর্যক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এদিকে, আজ শনিবার (২ অক্টোবর) রাতে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আরেকবার সাংবাদিকদের প্রশ্নবানে বিধ্বস্ত হতে হলো বার্সা কোচকে। একপর্যায়ে তিনি মেজাজ হারিয়ে ফেলেন।
চাকরি নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে কোম্যান বলেন, কেউ আমাকে এখনো কিছু বলেনি। ক্লাব সভাপতি আমাকে এখনো কিছুই বলেননি। যদিও আমার চোখ আছে, কান আছে এবং বুঝতে পারছি, অনেক কিছুই ফাঁস হয়েছে। বারবার নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে করতে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। যে কেউ এখন ক্লাব ও দলের পরিস্থিতিটা বিশ্লেষণ করতে পারবে। ক্লাবে আমরা পরিবর্তন মেনে নিয়েছি। একদিন আমি এসব নিয়ে মুখ খুলবো।
এরপরেই মোক্ষম প্রশ্নটা করে বসেন এক সাংবাদিক। কোম্যানের কাছে জানতে চান, বার্সা কোচ হিসেবে তার সেরা মুহূর্ত কোনটি? প্রশ্নের ধরনে মনে হয়েছিল, এটাই হয়তো বার্সা কোচ হিসেবে কোম্যানের শেষ সংবাদ সম্মেলন। তাই রেগেমেগে কোম্যান বলেন, আমাকে এ কথার জবাব দিতে হবে? মনে হচ্ছে, এরই মধ্যে ছাঁটাই (ফায়ার) হয়েছি! চুক্তি সই করা সেরা মুহূর্ত, লিওনেল মেসির চলে যাওয়া সবচেয়ে বাজে মুহূর্ত।
আরও বলেন, আমার কাছে টাকার বস্তা থাকলে মেসি এখানেই থাকত এবং আরও কিছু ফুটবলারকে নিয়ে আসতাম।
সান নিউজ/এফএআর