নিজস্ব প্রতিবেদক: আঙ্গুলের অপারেশন করাতে গিয়ে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত ও জাতীয় জুডো দলের খেলোয়াড় প্রিয়াংকা আক্তারের (১৯) মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর গ্রিন রোডের গ্রিন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে প্রিয়াংকা মারা যান বলে নিশ্চিত করেন কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র পাল।
ওসি বলেন, অপারেশনের পর আনেস্থেসিয়ার সময় কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে বিকেএসপির সাবেক জুডো খেলোয়াড় মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছি। ভিক্টিমের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামানের নেতৃতে একটি টিম কাজ করছে।
আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেন, চিকিৎসক বলছেন, বৃহস্পতিবার প্রিয়াংকা আক্তার হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার হাতে একটি অপারেশন হয়। অপারেশনের পরে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় এবং এরপর তিনি মারা যান।
তবে চিকিৎসকেরা দাবি করছেন, তাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিলো না। তবে ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
জুডোর জাতীয় দলের কোচ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, প্রিয়াংকা আক্তার ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত একজন খেলোয়াড়। তার বাম হাতের একটি আঙ্গুল বাঁকা থাকার কারণে বৃহস্পতিবার অপারেশনের জন্য গ্রিন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়। অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানোর পর চিকিৎসকেরা বের হয়ে বলেছিলো রোগীর অবস্থা খারাপ।
তিনি বলেন, চিকিৎসকেরা আমাদের জানিয়েছেন, রোগীকে আনেস্থেসিয়া দেয়া হয়েছিলো। হয়তো আনেস্থেসিয়ার মাত্রা বেশি ছিলো এ কারণে রোগী সহ্য করতে না পেরে স্ট্রোক করে মারা যান। কিন্তু হাতের আঙ্গুলের ছোট্ট একটি নরমাল অপারেশনের জন্য কীভাবে রোগী মারা যায়?
অভিযোগের বিষয়ে গ্রিন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার মো. ইকরাম হোসেন বলেন, অপারেশনটি করেন বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক। হাতের আঙ্গুলের ছোট্ট একটি অপারেশনটি ছিলো। এ অপারেশন করার আগে রোগীর ফিটনেসসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। অপারেশনের আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পরে রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়।
সান নিউজ/এফএইচপি