ক্রীড়া প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)র পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন ২০২১-এর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ৬ অক্টোবর মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। সেদিনই প্রাথমিক ফল প্রকাশের পর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে ৭ অক্টোবর।
তফসিল অনুযায়ী, বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রকাশ করা হবে খসড়া ভোটার তালিকা। সেই তালিকার ওপর আপত্তি ও শুনানি থাকলে বৃহস্পতিবার তা শেষ করে সেদিন বিকেলে প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে শুক্র ও শনিবার। মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন সোমবার। বাছাই শেষে তালিকা প্রকাশ করা হবে মঙ্গলবার।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় মনোয়নপত্র প্রত্যাহারের। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ সেদিন দুপুর ২টায়।
৬ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ। সেদিনই গণনা শেষে প্রাথমিক ফল প্রকাশ করা হবে। পরদিন দুপুর ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে ফল।
কোভিড পরিস্থিতিতে এবার পোস্টাল/ই-ভোটের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
১৭১ কাউন্সিলর ভোট দিয়ে ২৩ জন পরিচালককে নির্বাচিত করবেন। তিনটি ক্যাটাগরিতে বিসিবির ২৩ পরিচালক পদে নির্বাচন হবে। এর মধ্যে পরিচালক ক্যাটাগরি-১ (জেলা ও বিভাগ) থেকে ১০ জন, পরিচালক ক্যাটাগরি-২ (ক্লাব) থেকে ১২ জন এবং ক্যাটাগরি-৩ (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সাবেক ক্রিকেটার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান) থেকে একজনকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন কাউন্সিলররা। এই ২৩জন ছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে দু’জন পরিচালক আসবেন। ইতোমধ্যে আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ও জালাল ইউনুস নির্বাচিত হয়ে গেছেন।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আইসিএবি’র (ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশ) সাবেক প্রেসিডেন্ট এম ফরহাদ হোসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বাকি চার সদস্য হলেন— বাংলাদেশ সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক, বিসিবির আইনি পরামর্শক মুদ্দাসির হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট মোহাম্মদ একরামুল হক ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী।
চলতি মাসেই শেষ হয়ে যাবে বিসিবি সভাপতি হিসেবে পাপনের মেয়াদ। সরকারের মনোনয়নে ২০১২ সালের অক্টোবরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ২০১৩ সালের অক্টোবরের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। প্রথমবারের মতো ২০১৭ সালেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোর্ড সভাপতি হন তিনি। এবার তৃতীয় দফায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও আগেরবারের মতো সেই উত্তাপ নেই। আগামী মাসের শুরুতে নির্বাচন দিয়ে নতুন কমিটির কাছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চায় এই বোর্ড।
সান নিউজ/এফএআর