ক্রীড়া ডেস্ক: দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিদেশেও ভালো কিছু করছে মুস্তাফিজুর রহমান। ক্রিকেটে তার যাদুতে এবার প্রায় হারা ম্যাচে জয়ী হয়েছে দলটি। ১২ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৮ রান, হাতে ৮ উইকেট। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এমন পরিস্থিতিতে অতি আত্মবিশ্বাসী মানুষটিও ব্যাটসম্যানদের পক্ষে বাজি ধরবেন নিশ্চয়ই! তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে ২ রানে ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। শেষ ২ ওভারে বাজিমাত করেন মুস্তাফিজুর রহমান ও কার্তিক তেওয়াগি। ১৯তম ওভারে মুস্তাফিজ দেন মাত্র ৪ রান। শেষ ওভারে ১ রান দিয়ে ২ রানের জয় এনে দেন তেওয়াগি।
রাজস্থানের অলরাউন্ডার রায়ান পারাগের কাছে স্মৃতি হয়ে থাকবে এই ম্যাচ, ম্যাচের এই দুই ওভার। ১৯তম ওভারে বল করতে আসা মুস্তাফিজকে পরাগ বলেছিলেন, কোনোরকম ম্যাচটি বাঁচিয়ে রাখতে। ম্যাচ শেষে পারাগ জানিয়েছেন, এই ২ ওভার তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে দেখা সেরা বোলিং স্পেল।
পারাগ বলেন, সত্যিই ক্রিকেট বেশ মজার খেলা। প্রথম ইনিংসের পর মনে হচ্ছিল ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রনে। কিন্তু পরে বেশকিছু ক্যাচ ছাড়ার পর ম্যাচটি আমাদের হাত থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল। ১৯তম ওভারে যখন মুস্তাফিজ বল করতে আসে, আমি তখন মিড অফে ফিল্ডিং করছিলাম। তাকে বললাম, এই ওভারে ম্যাচটি হাতছাড়া করো না, শেষ ওভারে ত্যাগী আসবে, আমাদের ভালো সুযোগ আছে।
এদিন আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ১৮৫ রানের সংগ্রহ পায় রাজস্থান। বিশাল লক্ষ্যটা মামুলি বানিয়েছিলেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও লোকেশ রাহুল। পরে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন পুরান-মার্করাম। ম্যাচের ১৯তম ওভার ও নিজের কোটার শেষ ওভার করতে আসার আগে প্রথম তিন ওভারে ২৬ রান দিয়ে ফেলেছিলেন মুস্তাফিজ। ত্যাগী খরচ করেছিলেন ৩ ওভারে ২৮ রান।
পারাগ জানান, তারা দুজনেই অসাধারণ ছিল। শেষ ২ ওভারে ৮ রান আটকে ম্যাচ জেতা সহজ নয়, সেটি তারা করে দেখিয়েছে। এটি আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে আমার দেখা সেরা বোলিং স্পেল। আমি মনে করে তারা টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোতেও এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আমাদের আরও ম্যাচ জেতাবে।
সান নিউজ/এফএআর