সান নিউজ ডেস্ক: ২০০৯ সালে শিখর এবং আয়েশার বাগদান হয়েছিলো। তার তিন বছর পর তাদের বিয়ে হয়। ঠিক দুই বছর পর পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। দুইজনের সম্পর্ক নিয়ে গোলমাল শোনা যায়নি কখনই। তারা সুখী দম্পতি বলে সকলেই জানতেন।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) আয়েশা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে একটা পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলতে চেয়েছেন দুইবার বিবাহ বিচ্ছেদ সহ্য করা সহজ ব্যাপার নয়। অতীতে যখন এক অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীকে বিয়ে করার পর বিচ্ছেদ হয়েছিলো নিজেকে অপরাধী মনে হয়েছিলো তার।
ভয় পেয়েছিলেন, অপমানিত বোধ করেছিলেন। এবারও ব্যাপারটা একইরকম। অনেক ভেবেছেন, মনের ভেতর দ্বন্দ্ব চলেছে। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন মনে হচ্ছে ভয় উধাও হয়ে গিয়েছে। হালকা মনে হচ্ছে নিজেকে। তবে অন্য মানুষের জীবনে যেন এই পরিণতি না হয় সেই প্রার্থনা করেছেন আয়েশা।
আয়েশা ইতোমধ্যে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দেয়া নাম 'আয়েশা ধাওয়ান' মুছে ফেলেছেন। এ নিয়ে আবেগঘন একটি পোস্ট করেছেন আয়েশা। ইনস্টাগ্রামে ওই পোস্টে আয়েশা লিখেছেন, আমার সত্যিই হাসি আসছে, কীভাবে আমি কিছু কঠিন শব্দ লিখবো। এই প্রথম ডিভোর্সি হিসেবে অভিজ্ঞতা হলো। প্রথমবার যখন আমি বিবাহবিচ্ছেদের কথা শুনেছি তখন আমি সত্যিই খুব ভয় পেয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিলো যে আমি ব্যর্থ হয়েছি এবং আমি সেই সময়ে খুব ভুল কিছু করছিলাম।
আয়েশা আরও লিখেছেন, আমার মনে হয়েছিলো যেন আমি সবাইকে হতাশ করেছি এবং এমনকি স্বার্থপরও বোধ করেছি। আমি অনুভব করলাম যে আমি আমার বাবা-মাকে হতাশ করছি, আমি অনুভব করেছি যে আমি আমার সন্তানকে নিচু করে দিচ্ছি এবং এমনকি কিছুটা হলেও আমি অনুভব করেছি যেন আমি ঈশ্বরকে ছোট করে দিচ্ছি। বিবাহবিচ্ছেদ এমন একটি নোংরা শব্দ।
তবে শিখর ধাওয়ান নিজে সরকারিভাবে কিছু ঘোষণা করেননি। কিন্তু বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, দুইজনের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। কয়েকদিন বাদেই দিল্লি ক্যাপিটালস দলের হয়ে আইপিএল খেলবেন শিখর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পান কিনা সেটাও দেখার বিষয়। ভারতের জার্সিতে অধিনায়ক হিসেবে শ্রীলঙ্কায় অভিষেক হয়েছিল তার। যথেষ্ট ভাল পারফর্ম করেছিলেন। শিখর ধাওয়ান পেশাদার ক্রিকেটার। ব্যক্তিগত জীবনে এই চরম হতাশার সময় তিনি ভেঙে পড়বেন না সেটাই আশা করা যায়।
সান নিউজ/এনকে