ক্রীড়া ডেস্ক: গোলের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছিলেন ইউরোতে। করেছিলেন পাঁচ গোল, ছুঁয়ে ফেলেছিলেন ইরানি কিংবদন্তি আলি দায়ীর বিশ্বরেকর্ডও। এবার বিশ্বকাপ বাছাইয়েও করলেন জোড়া গোল, আর তাতেই আন্তর্জাতিক গোলের বিশ্বরেকর্ডটা একান্তই নিজের করে নিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
ইউরোয় করা পাঁচ গোল তাকে সমতায় নিয়ে এসেছিল আলি দায়ীর সঙ্গে। দু’জনের গোল ছিল ১০৯টি করে। কিন্তু শেষ ষোল থেকে ছিটকে পড়েছিল তার দল। আর তাতেই রেকর্ডটা ভাগাভাগি করতে হয়েছে আরও দুটো মাস।
তবে বিশ্বকাপ বাছাই শুরু হতেই শেষ হলো অপেক্ষার পালা। বুধবার রাতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৯ মিনিটে সতীর্থের ক্রস থেকে তার করা দারুণ এক হেডার গিয়ে আছড়ে পড়ল প্রতিপক্ষ জালে। এল সমতাসূচক গোলটি। তাতে সিংহাসনটাও নিজের করে নেন পর্তুগীজ অধিনায়ক। থামেননি সেখানেই। যোগ করা সময়ে করলেন আরও একটি গোল। সেটাও হেডার থেকেই। ফলে অন্তিম সময়ের দুই গোলে তার দল পর্তুগালও পেল দারুণ এক জয়।
শেষ গোলের ফলে আন্তর্জাতিক গোলের বিশ্বরেকর্ড পেল নতুন এক উচ্চতা। গিয়ে ঠেকল নেলসন নাম্বারে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার গোল ১১১টি, বিশ্বরেকর্ডটাও।
যাকে পেছনে ফেলেছেন, সেই আলি দায়ীর ১০৯ গোল এসেছিল ১৪৯ ম্যাচে। আর সেই রেকর্ড ভাঙতে ১৮০ ম্যাচ খেলতে হলো রোনালদোকে। পুরুষ ফুটবলে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৯০ এর বেশি গোল আছে কেবল এই দুজনেরই। তিনে আছেন যিনি, সেই মুক্তার দাহারির গোলের সংখ্যাও আছে ঢের পিছিয়ে, ‘মাত্র’ ৮৯টি!
এখনো খেলে যাচ্ছেন এমন খেলোয়াড়দের ভেতর তার কাছাকাছি আছেন কেবল আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি আর সংযুক্ত আরব আমিরাত কিংবদন্তি আলি মাবখুত, দু’জনের গোল সমান ৭৬টি করে।
এই রেকর্ড তো বটেই। রোনালদোর দখলে আছে ইউরোর সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও, সবশেষ আসরেই এই রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ইউরোয় তার গোলসংখ্যা ১৪টি। ইউরো আর বিশ্বকাপ মিলিয়েও রেকর্ডটা তারই দখলে। সব মিলিয়ে তার গোল ২১টি। এদিকে ক্লাব ফুটবলে ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তারই দাপট। সেখানেও সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটা দখল করে আছেন এই রোনালদোই।
সান নিউজ/এমএম