নিজস্ব প্রতিবেদক: পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এসেছে নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশে এসেছে । এর জন্য শুরুতে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট। তবে ঢাকায় আসার পর ব্যাটসম্যান ফিন অ্যালেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার নতুন করে পাঠানো হয় পেসার ম্যাট হেনরিকে। যদিও অ্যালেনকে বাদ দেয়নি তারা। এতে স্কোয়াডে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে।
যেদিন বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দল ঘোষণা করে কিউইরা, একই দিন আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডও দিয়েছে তারা। তবে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে যারা আছেন, তাদের কাউইকেই বাংলাদেশ সিরিজে রাখেনি কিউইরা।
তারুণ্যনির্ভর এক দল পাঠিয়েছে তারা। যেখানে সবচেয়ে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। অভিজ্ঞও হয়েও তিনি সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৩৬টি। দলে ফিরেছেন দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর।
নিউজিল্যান্ড দলের নেতৃত্ব দেবেন টম লাথাম। প্রায় ৯ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার তার, তবে এই ফরম্যাটে তিনি ম্যাচ খেলেছেন মোটে ১৩টি। সবশেষ যে ৪৫ মাস টি-টোয়েন্টিতে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপাতে পারেননি সেটিও ভুলে গেছেন তিনি।
লাথাম বলেন, ‘যেভাবে সূচি করা হয়, সেই হিসেবে ওয়ানডে ও টেস্ট ছাড়া অন্য কিছু খেলার সুযোগ নেই। আমি নিশ্চিত না কবে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছি। হবে হয়তো দুই বছর আগে।’
লাথামের মতোই অবস্থা হেনরি নিকোলস, টম ব্লান্ডেল, ম্যাট হেনরিদের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অনিয়মিত তারা। অথচ বাংলাদেশ সফরে নিউজিল্যান্ড দলের ‘অভিজ্ঞ’ খেলোয়াড় বলতে তারাই। ১৬ সদস্যের দলে আন্তর্জাতিক অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন রাচিন রবীন্দ্র, কোল ম্যাককনচি ও বেন সিয়ার্স।
বাংলাদেশ সফরে আসার আগে নিউজিল্যান্ড দল বেশ ভালোভাবে জেনে এসেছে এখানে স্পিন দিয়ে লড়তে হবে তাদের। অথচ স্কোয়াডে বিশেষায়িত স্পিনার বলতে কেবল এজাজ প্যাটেল। সঙ্গে টুকটাক হাত ঘোরাতে পারে কোল ম্যাককনচি, উইল ইয়াং ও রাচিন রবীন্দ্র (বাঁহাতি স্পিনার)। টম ব্লান্ডেল মূলত উইকেটরক্ষক তবে কালে ভদ্রে ডানহাতি অফ ব্রেকও করেন।
অথচ কিউইদের বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছেন হংকংয়ের হয়ে ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা মার্ক চাপম্যান। আছেন ৩৪ বছর বয়সী লেগ স্পিনার টড অ্যাশলেও। দুই স্পিনার ইশ সোদি ও মিচেল স্যান্টনার। সংযুক্ত আর আমিরাতের সম্ভাব্য টার্নিং পিচে তারাই হবেন কিউইদের ভরসা। বাংলাদেশে এলে তাদের নিয়ে আলোচনা জমতো। মস্থর উইকেটে এই স্পিনাররা প্রতিপক্ষ শিবিরে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ।
ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, কাইল জেমিনসনের সঙ্গে আছেন লুকি ফার্গুসন মিলে বিশ্বকাপের পেস বোলিং বিভাগ নিউজিল্যান্ডের। এছাড়া স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছে আরেক পেসার অ্যাডাম মিলনেকে। তাদের কেউই নেই বাংলাদেশ সফরে। নেই কেন ইউলিয়ামসন, জিমি নিশাম, টিম সেইফার্ট, ডেভেন কনওয়ের মতো ক্রিকেটারও।
বাংলাদেশ সফরের নিউজিল্যান্ড দল-
টম লাথাম (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, হামিশ বেনেট, টম ব্লান্ডেল, ডগ ব্রাসওয়েল, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, জ্যাকব ডাফি, স্কট কাগেলেইন, কুল ম্যাকনি, হেনরি নিকোলস, এজাজ প্যাটেল, রাচিন রবীন্দ্র, বেন সিয়ারস, ব্লেয়ার টিকনার, ম্যাট হেনরি ও উইল ইয়ং।
সাননিউজ/এএসএম