ক্রীড়া ডেস্ক: আফগানিস্তানের ক্ষমতা আবার নিয়ে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এ নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খানের মতো আফগান ক্রিকেটাররা। কিন্তু রশিদ খান যাঁকে আদর্শ মেনে বড় হয়েছেন, তাঁর কাছে এ ঘটনা গুরুত্ব পাচ্ছে না। রশিদের আদর্শ পাকিস্তানি সাবেক তারকা শহীদ আফ্রিদির চোখে তালেবান ক্ষমতায় আসায় ক্ষতি নেই।
আরেক সাবেক ক্রিকেটার, বর্তমানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তো বেশ কয়েকবারই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পক্ষে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন। এবার আফ্রিদিও জানালেন নিজের অবস্থানের কথা। তাঁর চোখে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইতিবাচক মানসিকতা দেখাচ্ছে।
আফ্রিদির ধারণা, বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘ক্রিকেট ভালোবাসে’ এবং ‘মেয়েদের কাজ করতে দেবে’।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন আফ্রিদি। পাকিস্তানের সাংবাদিক নায়লা ইনায়েতের এক ভিডিও ক্লিপে আফ্রিদিকে বলতে শোনা গেছে, বিদ্রোহী গোষ্ঠী ক্ষমতায় এসেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তারা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে এসেছে। তারা নারীদের কাজ করতে দিচ্ছে। তারা নারীদের রাজনীতিতে ঢোকার সুযোগ করে দিচ্ছে। তারা ক্রিকেটকে সমর্থন দিচ্ছে...এবং আমি বিশ্বাস করি তালবান ক্রিকেট খুব পছন্দ করে।
আফ্রিদির মতো অতীতে এমন সমর্থন ইমরান খানের মুখে শোনা গিয়েছিল। গত জুলাইয়ে, আফগানিস্তান তখনো বিদ্রোহী গোষ্ঠী দখলে যায়নি, সে অবস্থাতেও ইমরান বলেছিলেন, বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘কোনো সৈন্য দল’ নয়, বরং সাধারণ নাগরিক। তাঁর সীমানায় ৩০ লাখ আফগান শরণার্থী আছেন, যাদের অধিকাংশ পশতু। বিদ্রোহী গোষ্ঠী এই জাতিগোষ্ঠীর। এ কারণে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী হননি তিনি।
পিবিএস নিউজ আওয়ারের কাছে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এখানে ৫ লাখ লোক ক্যাম্পে আছে। ওখানে ১ লাখ লোক ক্যাম্পে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী কোনো সৈন্যবাহিনী নয়, তারা সাধারণ নাগরিক। এই ক্যাম্পে যদি কিছু নাগরিক থাকে, পাকিস্তান কীভাবে তাদের খুঁজবে? আপনি কীভাবে তখন একে আশ্রয়স্থল বলবেন?
আগস্টে প্রকাশ্যেই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পক্ষে কথা বলেছেন। ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা নেয়া ইমরান বলেছেন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষা বন্ধ করে ‘অন্য দেশের সংস্কৃতি থেকে আফগানিস্তানকে মুক্তি’ দিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী!
সান নিউজ/এফএআর