নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক সূচির ব্যস্ততার কারণে নানা দেশ তাদের দল নিয়ে নানা ধারণে পরিকল্পনা করে। বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম নয়। এবার ব্যস্ত সূচির কারণে একই সময়ে দুইটি জাতীয় দলকে খেলানোর পথে হাঁটছে। দুইটি জাতীয় দল গড়া নতুন কোনো বিষয় নয়।
অনেক আগে থেকেই এমনটা করে আসছে বিশ্বের বড় বড় ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলো। এই যেমন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলই, তাদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের একজনকেও রাখেনি চলতি বাংলাদেশ সফরের দলে।
এছাড়া সম্প্রতি বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেট দল যখন ইংল্যান্ডে, তখন শিখর ধাওয়ানের নেতৃত্বে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে ভিন্ন আরেকটি দল। এতদিন ধরে বাইরের দেশগুলোর কাছ থেকে এমনটা দেখলেও, এখন সেটি বাংলাদেশেও সম্ভব!
অলীক কল্পনা নয়, খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনই জানিয়েছেন এমন সম্ভাবনার কথা। শুধু তাই নয়, চলতি বছরই এমনটা দেখা যেতে পারে বলে মনে করেন দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেছেন পাপন। তার মতে, বাংলাদেশ দল এখন একসঙ্গে দুইটি দল বানাতেই পারে। তবে এক্ষেত্রে পারফরম্যান্সের বিষয়ে ধৈর্য্য ধরতে হবে।
পাপন বলেন, ‘আমাদের দুইটা জাতীয় দল একসাথে খেলবে, এমন সময়ের বেশি দেরি নেই আমার ধারণা। নভেম্বরে পাকিস্তান আসার কথা রয়েছে আমাদের দেশে। এর বাইরে শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ড সিরিজও আছে। সুতরাং (একসঙ্গে দুইটি জাতীয় দল) হতেই পারে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘শুধু বলব যে অস্থির হয়েন না। এমন পরিস্থিতিতে নতুন কিছু খেলোয়াড় খেলবে। একটা দুইটা ম্যাচ খারাপ খেলতে পারে, তাতে হুলস্থুল হওয়া যাবে না। একটু ধৈর্য্য ধরুন, সময় দিলে আমার ধারণা দুইটা জাতীয় দল গঠন করা সম্ভব।’
তবে দুইটি জাতীয় দল গড়তে গিয়ে যে সমান শক্তির দল হবেনা সেটা নিশ্চিতই। আর এ কারণেই তরুণ ও নতুন ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স দুই এক ম্যাচ দেখেই মূল্যায়ন না করার পরামর্শ পাপনের।
সাননিউজ/এএসএম