স্পোর্টস ডেস্কঃ
ম্যাচ ফিক্সিং আইসিসির এক চরম ও অন্যতম শত্রু। এর বিরুদ্ধে শাস্তি ও সতর্কতার শেষ নেই সংগঠনটির। সিরিজ বা টুর্নামেন্টের শুরুর আগে ক্রিকেটারদেরকে নিয়মিত ব্রিফ করা হয়। তবুও ম্যাচ ফিক্সিং থামাতে পারছে না আইসিসি।
সাকিব আল হাসানের মত তারকা ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েও আইসিসিকে না জানানোর কারণে এক বছর নিষিদ্ধ হন। পাঁচ বছর খেলার বাইরে ছিলেন আরেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল। কদিন আগে ফিক্সিং এর অভিযোগে নিষিদ্ধ হন আফগান উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান শফিকুল্লাহ শফিক। সম্প্রতি সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার রমিজ রাজা এক সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবালকের কাছে ম্যাচ পাতানো প্রসঙ্গে তাঁর অভিমত জানতে চায়।
জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আইসিসি তার জায়গা থেকে সাধ্যমত সবকিছু করছে। আইসিসি আমাদের সবাইকে নিয়মিত ভাবে শেখাচ্ছে। সুতরাং ক্রিকেটারদের জানা উচিত কী করা উচিত আর কী করা উচিত না। এর পরও যদি কেউ এরকম কাজে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে বিষয়টা ওই ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে। যদি কেউ নিজের দেশকে ভালোবাসে, ক্রিকেট ভালোবাসে, খেলাটার প্রতি আবেগ কাজ করে, তাহলে কেউ এইরকম হীন কাজ করতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘আপনি খেলাটা পছন্দ করেন বলেই কিন্তু খেলা শুরু করেছেন। আর্থিক দিকটা আসে পরের দিকে। এটাও গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমাদেরও তো পরিবার আছে, তাদের খরচ আছে। তবে প্রথমবার যখন ব্যাট ধরি তখন টাকার কথা ভেবে ব্যাট ধরিনি। ব্যাট ধরেছি খেলার প্রতি ভালোবাসা থেকে। কোনো অনৈতিক কাজ করার আগে এটা মাথায় রাখতেই হবে।’
এ ব্যাপারে বিসিবি ও বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি। তিনি জানান অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ফিক্সিং এর মত ব্যাপারগুলোতে বিসিবি সব সময়ই খুব কঠোর অবস্থানে থাকে। তবে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আমরা সকলেই জানি আমাদের চারিপাশে ফাঁদ পাতা আছে। জুয়াড়িদের পাতা সেই ফাঁদে পা দেওয়ার আগে আমাদের সকলেরই উচিৎ এখানে আসার প্রধান কারণটি মনে করা। আমরা এখানে খেলতে এসেছি, দেশের হয়ে লড়াই করতে এসেছি। এই দুটি বিষয় সব সময় মনে রাখতে হবে।
সান নিউজ/ বি.এম.