নিজস্ব প্রতিবেদক: কাবাডি জাতীয় খেলা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাবাডি ছিলো বাংলাদেশের পদক পাওয়ার আশা। আর ভরসার অন্যতম ডিসিপ্লিন। সেই ভরসা এখন দিনকে দিন কমে আসছে। ২০১৮ এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ কাবাডি নারী ও পুরুষ কোনো ইভেন্টেই পদক পায়নি। আগামী বছর ১০-২৫ সেপ্টেম্বর চীনের হাংঝু শহরে অনুষ্ঠিত হবে ১৯তম এশিয়ান গেমস
বিভিন্ন সার্ভিসেস ও জেলার ৫০ খেলোয়াড় নিয়ে ২০ আগস্ট থেকে আবাসিক ক্যাম্প শুরু হয়েছে কাবাডি কমপ্লেক্সে। সাবেক ফিফা রেফারি সুজিত ব্যানার্জী চন্দনের অধীনে ফিটনেস ট্রেনিং চলছে। নারী দলের ক্যাম্প শুরু হবে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে।
কাবাডি অত্যন্ত শরীর নির্ভর খেলা বিধায় ফিটনেস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাবাডির খেলোয়াড়দের ফিটনেসে এবার বেশ জোর দিয়েছে ফেডারেশন। বিশেষভাবে ফিটনেস ইন্সট্রাকটর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সাবেক ফিফা রেফারি ও রেফারিজ ফিটনেস ইন্সট্রাকটর সুজিত ব্যানার্জী চন্দনকে কাবাডি দলের ফিটনেস ইন্সট্রাকটর হিসেবে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।
সাবেক ফিফা রেফারি প্রয়াত মুনীর হোসেন কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আরো অনেক ফুটবল রেফারি কাবাডি ফেডারেশনের সঙ্গে বিভিন্নভাবে জড়িত ছিলেন। ফুটবল রেফারিদের সঙ্গে কাবাডি ফেডারেশনের ঐতিহাসিক সম্পর্ক।
সেই সর্ম্পকের ভিত্তিতেই সুজিতকে কাবাডি দলের ফিটনেস ইন্সট্রাকটর হিসেবে নিয়োগ। কাবাডিতে যুক্ত হয়ে তার মন্তব্য, ‘দেশের জাতীয় খেলার জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়াটা অবশ্যই গর্বের। ফুটবলের রেফারিংয়ের মতো কাবাডিতেও আমি ফিটনেস নিয়ে ভালো কাজ করতে চাই।’
২০ আগস্ট থেকে কাবাডি দলের ক্যাম্প শুরু হয়েছে। কাবাডি খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে তার পর্যবেক্ষণ, ‘যে কোনো খেলায় ফিটনেস খুব গুরুত্বপূর্ণ। কাবাডির মতো খেলা তো অবশ্যই। আমি খেলোয়াড়দের ফিটনেস উন্নতির জন্য কাজ করছি।’ ফুটবলাঙ্গনে বিশেষ করে রেফারিদের ফিটনেস নিয়ে সুজিত খুব ভালো কাজ করছেন।
কাবাডি ফেডারেশনের সঙ্গে সুজিতের প্রাথমিক চুক্তিটা সাময়িক। এই স্বল্প সময়ের মধ্যেও খেলোয়াড়দের ফিটনেসে উন্নতি করানোর লক্ষ্য সুজিতের, ‘ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে আমি স্বচ্ছন্দবোধ করি। আমার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের ফিটনেসে উন্নত হলে কাজ করব। না হলে আমি নিজেই সরে আসব।’
১৯৯০ বেইজিং এশিয়ান গেমসে কাবাডি অর্ন্তভূক্ত হলে সে আসরে রৌপ্য পদক জিতেছিল বাংলাদেশের ছেলেরা। সেটি ধরে রাখে ১৯৯৪ হিরোশিয়া ও ২০০২ বুসান এশিয়াডেও। ১৯৯৮ ব্যাংকক ও সর্বশেষ ২০০৬ সালে দোহায় ব্রোঞ্জ পদক জিতে। এরপর ২০১০ গুয়াংজু, ২০১৪ ইনচন ও ২-১৮ জাকার্তা টানা তিন এশিয়ান গেমসে পদকশূন্য ছেলেরা। মেয়েরা ২০১০ ও ২০১৪ আসরে ব্রোঞ্জ জিতলেও ২০১৮ জাকার্তা এশিয়ান গেমস থেকে ফিরেছে পদকহীনভাবে।
সাননিউজ/এএসএম