ক্রীড়া ডেস্ক : গত রোববার (৮ আগস্ট) স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় বিদায়ী সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। দীর্ঘ ২১ বছর পর ক্লাব ছাড়ার মুহূর্তে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মেসি। তখন সামনের সারিতেই বসে থাকা তার স্ত্রী আন্তোলেনা রোকুজ্জো এগিয়ে আসেন একটি টিস্যু নিয়ে, মেসির চোখের জল মোছার জন্য।
দেখে মনে হচ্ছিল, আন্তোলেনা আগেই জানতেন সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে ধরে রাখতে পারবেন না মেসি। তাই নিজের সঙ্গে টিস্যু রেখেছিলেন, যেন স্বামীর প্রয়োজনে তা দিতে পারেন। অবশ্য আন্তোলেনার তা না জানার কোনো কারণ নেই। কেননা বার্সা ছাড়ার খবরে একসঙ্গেই কান্না করেছিলেন দুজন।
বার্সেলোনা ছেড়ে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) যোগ দিয়েছেন মেসি। ক্লাবটিতে আনুষ্ঠানিক পরিচয়ের দিন জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনা ছাড়া ও পিএসজিতে যোগদানের সময়কার পরিস্থিতি ও অনুভূতির কথা জানিয়েছেন মেসি।
বৃহস্পতিবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে মেসিকে ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বার্সেলোনা। সেদিন ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তার সঙ্গে আলোচনায় সারাদিন ব্যয় করেন মেসির বাবা। পরে বাবার কাছ থেকেই মেসি জানতে পারেন, আর বার্সেলোনায় থাকা হচ্ছে না তার। তখন স্ত্রীর সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
সেই সময়ের কথা জানিয়ে মেসি বলেন, ‘আমার বাবা বাসায় এসেছিলেন। তিনি সারাদিন (হুয়ান) লাপোর্তার সঙ্গে ছিলেন। যখন বাসায় এসে আমাকে সব জানান, তখন ওই মুহুর্তে আমি খুবই ভেঙ্গে পড়েছিলাম। তবে আমাকে তখনই মানসিকভাবে প্রস্ততি নিতে হয়েছিলো আমার স্ত্রীকে খবরটা দেয়ার জন্য।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা কান্না করেছিলাম এবং আমাদের বাচ্চাদের এই খবরটা দেয়া দরকার ছিল। ডিসেম্বরে ওদেরকে বলেছিলাম যে আমরা বার্সেলোনাতেই থাকব। আমরা জানতাম খবরটা ওদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক হবে। বিশেষ করে থিয়াগোর (মেসির বড় ছেলে) জন্য। এরপরের সবই খুব তাড়াতাড়ি হতে থাকে।’
সাননিউজ/এমএইচ