স্পোর্টস ডেস্ক: প্রায় সব গণমাধ্যমই জানিয়েছিল, বার্সেলোনায় থাকছেন লিওনেল মেসি। এমনকি মেসি নিজেও এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই বদলে যায় সবকিছু।
বার্সা জানিয়ে দেয়, দলের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে তারা আর চুক্তি করতে পারছে না। খবরটি জানার পর একসঙ্গে কেঁদেছিলেন মেসি ও তার স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো।
সম্প্রতি বিখ্যাত সাংবাদিক গুইলিয়েম বালাগকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দুঃসংবাদটি শোনার পরের অবস্থা জানিয়েছেন মেসি। সেখানে তিনি নিজের ও পরিবারের অন্য সদস্যদের অবস্থা ব্যাখ্যা করেছেন। পাঠকদের সুবিধার্থে এই অংশের বঙ্গানুবাদ নিচে দেওয়া হলো:
আমার বাবা বাসায় এসেছিলেন। তিনি সারা সকাল লাপোর্তার (বার্সা সভাপতি) সঙ্গে ছিলেন। যখন বাবা বাসায় এলেন, তখনই আমাকে সব জানায়। সত্যি বলতে আমি ঐ মুহুর্তে খুবই ভেঙে পড়েছিলাম।
তবে আমাকে তখনই আমার স্ত্রীকে খবরটা দেয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্ততি নিতে হয়েছিলো। সে খবরটা জানার পর আমরা কান্না করেছিলাম।
তারপর আমাদের বাচ্চাদেরকে খবরটা দেওয়ার দরকার ছিল। মানসিকভাবে আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। তাই আমি ও আন্তোনেল্লা একে অপরকে চিয়ার আপ করেছিলাম যেন বাচ্চাদেরকে সহজে খবরটা জানাতে পারি। কারণ আমাদের এই কথাটা বাচ্চাদেরকে ঠিকঠাকভাবে বলার দরকার ছিলো।
আমি ডিসেম্বরে ওদেরকে বলেছিলাম যে আমরা সবাই একসঙ্গে বার্সেলোনাতেই থাকবো। আমি জানতাম, খবরটা ওদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক হবে, বিশেষ করে থিয়াগোর জন্য। এরপরের কথাগুলো যা বললাম শুরুতে আর কি। তবে সবই খুব তাড়াতাড়ি হয়ে গিয়েছিলো।
কিছু কিছু সময় আমরা একটা জিনিস নিয়ে অনেক বেশি ভাবি, কিন্ত বাচ্চারা খুব সহজেই মেনে নিতে পারে। ওরাও এমন ভাবে জিনিসগুলোকে মেনে নিয়েছিল যা আমরা ভাবতেও পারি না। থিয়াগোর কথাই ধরুন, হয়তো ওর কষ্টগুলোকে ও চাপা দিয়ে রেখেছে। কিন্ত এই মুহুর্তে ওকে দেখে মনে হচ্ছে ও সবকিছুই উপভোগ করছে।
আমি থিয়াগোকে খুব ভালোভাবেই চিনি। ও অনেকটাই আমার মতো। কাওকে কিছু না বলে ভেতরে ভেতরে কষ্ট পুষে রাখে। তবে এটা কোনো সিরিয়াস কিছু না। আশা করছি ও মানিয়ে নেবে।
এটি ওর জন্য ভালো একটা অভিজ্ঞতা হবে। ব্যক্তিগতভাবেও ওর উন্নতি হবে। আমরা ৫ জনেই খুবই ভালো থাকবো এবং ক্লাবে থাকাকালীন কাটানো সময়গুলো উপভোগ করবো।
বার্সা থেকে বিদায় নিয়ে বর্তমানে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনে (পিএসজি) যোগ দিয়েছেন লিওনেল মেসি। শিগগিরই দলটির হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
সাননিউজ/এএসএম