ক্রীড়া প্রতিবেদক : করোনার এই ভয়াবহতার মধ্যেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সফল এক সিরিজ শেষ করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বায়োবাবল থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সবকিছুই একদম নিখুঁতভাবে শেষ করতে পেরেছে আয়োজকরা।
অস্ট্রেলিয়াও তাই যাওয়ার আগে সন্তোষ প্রকাশ করে গেছে, জানালেন বিসিবি প্রধান নির্বাহী (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তার কথা, অস্ট্রেলিয়া যা চেয়েছে, তার চেয়ে বেশিই পেয়েছে এই সফরে।
বাংলাদেশে আসার আগে একগাদা শর্ত জুড়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সব শর্ত বেশ ভালোভাবেই পূরণ করেছে বিসিবি। ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের পরও তাই অস্ট্রেলিয়ার অভিযোগের জায়গা ছিলো না।
করোনার মধ্যে সিরিজটি এভাবে আয়োজন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল উল্লেখ করে বিসিবি সিইও বলেন, ‘অবশ্যই অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে আসার আগে থেকেই আপনারা জানেন যে আমাদের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ ও মেডিকেল বিভাগের সাথে যোগাযোগ হয়ে আসছিল। বিভিন্ন বিষয় বিশেষ করে তাদের প্লেয়ারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে চাহিদাগুলো ছিল, বেশ কিছু বিষয় তারা আমাদের আগেই জানিয়েছিল যে নিশ্চিত করতে হবে। সেগুলো নিশ্চিত করা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। বায়ো-বাবল প্রোটোকল অনুসারে সেগুলোকে নিশ্চিত করা, এ ধরনের কমপ্লাইন্সগুলো যেন ঠিকঠাকভাবে মিট করতে পারি, কোনো ধরণের ফল্ট না থাকে, সেটা নিয়েই আমাদের কাজ করতে হয়েছে।’
অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে পা রাখার পর বিমানবন্দর থেকে কঠোর প্রটোকলে তাদের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। বায়োবাবলের বাইরে কোনো মানুষের সংস্পর্শে আসার ন্যুনতম ঝুঁকি নিতে চায়নি তারা। সিরিজ চলাকালীন বাইরে থেকে কারও ঢোকা বা বের হওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল। এমনকি খেলা শেষে দুই দলের খেলোয়াড়রা হাতও মেলায়নি।
অস্ট্রেলিয়ার চাহিদামত এবার সবকিছুই করা হয়েছে। তাই খুঁত ধরার কোনো উপায় ছিল না তাদের। এত সুন্দরভাবে একটি সিরিজ আয়োজন করতে পারায় বিসিবির ওপর কি সন্তুষ্ট অস্ট্রেলিয়া?
এমন প্রশ্নে নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘অবশ্যই, ওরা যথেষ্ট সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আমার মনে হয় তারা যা পেয়েছে, তা প্রত্যাশার বেশি ছিল। তারা এতটা আশা করেনি যে, এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা বায়ো-বাবল পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পারব, তাদের চাহিদা অনুসারে আমরা প্রত্যেকটি বিষয় ফুলফিল করতে পারব।’
সাননিউজ/এমএইচ