স্পোর্টস ডেস্ক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ফুটবল। ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলির মধ্যে জার্মানিও তার ব্যতিক্রম ছিল না। কবে ফিরতে পারে ফুটবল এই ব্যাপারে সঠিক ধারণা এক মাস আগেও কারোর ছিল না। যার জেরে বাধ্য হয়ে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলি নিজের নিজের ফুটবল লিগগুলি এই মৌসুমের জন্য বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। ফ্রান্সের লিগে অনেক ব্যবধানে এগিয়ে থাকা 'প্যারিস সেন্ট জার্মেইন'কে বিজয়ী ঘোষণা করেছিল 'লিগ ওয়ান' কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যেই বেশ কিছুদিন আগে খেলোয়াড়দের ট্রেনিংয়ে ফিরতে ক্লাবদেরকে অনুরোধ করেছিলেন বুন্দেশলিগা কর্তৃপক্ষ। প্রথমে ব্যাক্তিগত ভাবে এবং তারপরে একসাথে অনুশীলনে ফিরেছিলেন বিভিন্ন ক্লাবের ফুটবলাররা। এরপর কিছুদিন আগেই ঘোষিত হয়েছিল যে ১৬ ই মে থেকে ফিরছে ফুটবল। প্রথমদিন বড় দলের মধ্যে খেলা ছিল বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের।
শালকের বিপক্ষে তারা মার্কো রয়েস, এমরে কান, আক্সেল উইটসেলের মতো খেলোয়াড়দের চোটের জন্য পাননি। জেডন সানচোর মত তুরুন তারকাকেও বেঞ্চে রেখেছিলেন কোচ লুসিয়েন ফ্যাভরে। তা সত্ত্বেও শালকে কে হারাতে কোন অসুবিধাই হল না ডর্টমুন্ডের।
ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলতে হবে বলে দর্শকদের অভাবে ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়দের অস্বস্তি হতে পারে বলে মনে করেছিলেন অনেকেই। কারণ বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সমর্থকরা দলের দ্বাদশ ব্যাক্তির কাজ করে থাকে। কিন্তু সেই আশঙ্কা এবং শালকে দু পক্ষকেই একইসাথে উড়িয়ে দিলেন জুলিয়েন, হ্যাজার্ডরা। ২৯ মিনিটে ইডেন হ্যাজার্ডের ভাই থ্রোগানের পাশ থেকে গোল করে যান তরুণ স্ট্রাইকার হাল্যান্ড। নিয়মিত গোল করা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন তিনি।
এরপর হাফ-টাইমের আগে জুলিয়েন ব্রান্ডিটের পাস থেকে ব্যবধান বাড়ান রাফায়েল গুরেইরো। হাফটাইমের পরে ৪৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে গোল করেন থ্রোগান হ্যাজার্ড। ৬৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোল করে শালকের কফিনে শেষ পেরেক টি পুঁতে দেন রাফায়েল গুরেইরো। এই জয়ের ফলে ২৬ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগে দ্বিতীয় স্থানে রইলো ডর্টমুন্ড
লিগের অন্য ৫ টি খেলায় দুটি অমীমাংসিত থাকে। ডুসেলদর্ফ ও প্যাডেরবরর খেলা গোলশূন্য ভাবে এবং লেপজিগ ও ফ্রেইবার্গের খেলা ১-১ গোলে ড্র হয়। আউসবার্গ কে ১-২ ফলে হারিয়েছে উলফসবার্গ। ফ্রাঙ্কফুটকে ১-৩ ফলে হারিয়েছে বুরুশিয়া মনচেনগ্ল্যাডব্যাক। অপর একটি খেলায় হফেনহাইমকে ০-৩ গোলে উড়িয়ে দেয় হের্থা বার্লিন।
সান নিউজ/ আরএইচ