নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা তিন ম্যাচ জয়। তার পর এক ম্যাচ হার। এইতো টাইগার ও অজিদের চলতি সিরিজের পরিসংখ্যান। গত ৬ আগস্ট তৃতীয় ম্যাচ ১০ রানে জিতে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
পরে ৭ আগস্ট চতুর্থ খেলায় বাংলাদেশ বিপক্ষে ৩ উইকেটে জেতে অস্ট্রেলিয়া। এতে সিরিজের চিত্র দাড়ায় ৩ - ১। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায়? বাংলাদেশ কি ৪-১’এ শেষ করবে? নাকি ৩-২ হবে?
প্রথম খেলায় ১৩১ রানের মাঝারি পুঁজি নিয়েও ২৩ রানের জয়ে শুভসূচনা করেছে টাইগাররা। পরের খেলায় ১২১ রান টপকে জিতেছে ৫ উইকেটে। আর তৃতীয় ম্যাচে ১০ রানের জয় ধরা দেয় ১২৭ রানের পুঁজিতে। তবে চতুর্থ খেলায় আর শেষ রক্ষা হয়নি। ১০৪ রানে থেমে ৩ উইকেটে হেরে যায় টাইগাররা।
আগের ৪ খেলায় একটা সত্য ধ্রুবতারার মত জ্বলেছে। তা হলো, এ সিরিজে তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছে। স্কোরলাইনটা খুব বড় হয়নি। একদমই লো স্কোরিং সিরিজ হয়েছে। যে সিরিজে বাংলাদেশ দুই খেলায় ১৩১ আর ১২৭ করেও জিতেছে। আর অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ সংগ্রহ মোটে ১২১। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি ম্যাথু ওয়েড বাহিনীর।
শুধু শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ১০৪ রানে থেমে আর কুলিয়ে উঠতে পারেনি। হেরেছে। তারপরও লড়াই হয়েছিল সমানে সমান।
ক্রিকেটে শেষ আর অসম্ভব বলে কোন কথা নেই। তবে এ সিরিজের আগের ৪ খেলার চালচিত্র, বিশেষ করে শেষ ম্যাচের দৃশ্যপট পরিষ্কার বলে দিয়েছে, শেরে বাংলার নিষ্প্রাণ ও মন্থর পিচে অনভিজ্ঞ অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য ১২৫-১৩০ও অনেক রান।
কারণ ঠিক আগের ম্যাচে ১০৫ রান করতেই অসিদের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিলো। সাকিবের এক ওভারে ৩০ রান নেয়ার পরও বাকি ৬৫ রান করতে তাদের খেলতে হয়েছে আরও ১৯ ওভার এবং সাতটি উইকেটও খোয়া গেছে।
তার মানে হলো অস্ট্রেলিয়ার এই দলের জন্য শেরে বাংলার স্লো ও খানিক টার্নিং পিচে ১০৫ও অনেক রান।
যাদের ১০৫ করতে প্রাণপন সংগ্রাম করতে হয়, এক ওভার থেকে ৩০ রান নেয়ার পরও জয় পেতে ১৯ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়, সেই দলের সামনে ১২৫-১৩০ টার্গেট দিতে পারলেই জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকবে। উইকেটের আচরণ নাটকীয়ভাবে বদলে গেলে ভিন্ন কথা।
হঠাৎ তুলনামূলক ব্যাটিং সহায়ক পিচে খেলা হলে হয়তো দেড়শর নিচে স্কোর নিয়ে জেতা কঠিন।
তবে অস্ট্রেলিয়া আগে ব্যাট করলে, ১২০’র আশপাশে টার্গেট হলেও হয়তো রিয়াদ বাহিনীর পাল্লা ভারী থাকবে। আগের ৪ ম্যাচ যে পিচে হয়েছে, শেষ দিনের উইকেটের আচরণ, গতি-প্রকৃতিও যদি তেমন থাকে- তাহলে শেষ ম্যাচে ১৩০’র মত স্কোর দাঁড় করাতে পারলে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা খুব বেশি থাকবে।
সাননিউজ/এএসএম