ক্রীড়া ডেস্ক : চলতি বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের চার ম্যাচে মোস্তাফিজুর রহমান ১৬ ওভারে মাত্র ৫৭ রান খরচায় উইকেট নিয়েছেন সাতটি, ইকোনমি রেট ৩.৫৬। বাঁহাতি এ পেসারের বোলিং ফিগার যথাক্রমে ৪-০-১৬-২; ৪-০-২৩-৩; ৪-০-৯-০ ও ৪-১-৯-২।
ওয়ানডে ক্রিকেটেও ৩.৫৬ ইকোনমি রেটের কথা আজকাল ভাবাই যায় না। সেখানে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কি না ওভারপ্রতি মাত্র সাড়ে ৩ রান খরচ করছেন মোস্তাফিজ। অসিদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে অল্প রানের পুঁজি নিয়েও দারুণ দুইটি জয়, সেখানে বড় অবদান ছিল দ্য ফিজের।
এছাড়া শনিবার যে ম্যাচটি হারল বাংলাদেশ দল, সেই ম্যাচেও মোস্তাফিজের বোলিংয়ের বেঁচে ছিল জয়ের আশা। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কৃপণ বোলিংয়ের নজির গড়ে ৪ ওভারে এক মেইডেনসহ মাত্র ৯ রান খরচায় ২টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত জয় মেলেনি। তবে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে প্রতিদিনই বাহবা পাচ্ছেন মোস্তাফিজ। সিরিজের চার ম্যাচ খেলার পরেও কোনোভাবেই তার বোলিংয়ের কুল কিনারা বের করতে পারছে অসিরা। যা স্বীকার করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ড্যান ক্রিশ্চিয়ান।
সাকিব আল হাসানের এক ওভারে ৫ ছক্কাসহ মাত্র ১৫ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়ার ১০৫ রানের লক্ষ্যটা অনেক সহজ করে দিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ান। পরে তাকে থামিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি আনেন মোস্তাফিজ। ম্যাচ শেষে ফিজের প্রশংসা করতে ভোলেননি এ অসি অলরাউন্ডার।
ক্রিশ্চিয়ান বলেছেন, ‘আজকে আমরা অনেক ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনার ব্যাপারে কথা বলেছি। ম্যাচে তাকে (মোস্তাফিজ) কীভাবে খেলব, ওভারগুলো কাটিয়ে দেবো নাকি সামনের পায়ে যাবো অথবা পেছনের পায়ে থাকব, নাকি অফসাইড বা লেগসাইডে খেলব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সে বলের ওপর যতটা নিয়ন্ত্রণ পায়, যত ভ্যারিয়েশন দেয়... আপনি কখনও বলতে পারবেন না যে, সে পরের বলটা কী করবে। তাই তাকে সামনের পায়ে খেলাও মুশকিল কারণ দেখা যাবে একটা বল টার্ন করেছে আবার পরেরটাই বাউন্স করছে।’
এখনও পর্যন্ত মোস্তাফিজের বিপক্ষে কোনো কার্যকর উপায় খুঁজে না পাওয়ার কথা জানিয়ে ক্রিশ্চিয়ান বলেন, ‘অবশ্যই আমরা এখনও কোনো সমাধান বের করতে পারিনি। তার বোলিং সত্যি দুর্দান্ত। সে কন্ডিশনটা নিজের সুবিধায় দারুণভাবে কাজে লাগাচ্ছে।’
সাননিউজ/এমএইচ