নিজস্ব প্রতিবেদক: শুধু সময়ের অপেক্ষা। পয়েন্ট এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বসুন্ধরা কিংস চ্যাম্পিয়ন। এদিকে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের মূল পর্বে সরাসরি খেলে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন দল ।
আর ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন দলকে খেলতে হয় প্লে অফ। এবার বসুন্ধরা ফেডারেশন কাপেরও চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় লিগ রানারআপ দল খেলার সুযোগ পাবে এএফসি কাপের প্লে অফ।
বসুন্ধরা চ্যাম্পিয়নশিপ প্রায় নিশ্চিত হলেও লিগের দ্বিতীয় পজিশন নিয়ে চলছে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
শেখ জামাল ১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। ঢাকা আবাহনী এক ম্যাচ বেশি খেলে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে। চট্টগ্রাম আবাহনী, মোহামেডান, শেখ রাসেল ও সাইফ স্পোর্টিংয়ের পয়েন্ট যথাক্রমে ৩৪,৩৩,৩০ ও ২৯। এর মধ্যে সবার ১৯ ম্যাচ হলেও সাইফের এক খেলা কম। ফলে সাইফও থাকছে রানার আপের দৌড়ে।
গাণিতিকভাবে সাইফ,শেখ রাসেলের দ্বিতীয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও লিগের দ্বিতীয় হওয়ার লড়াইয়ে আপাতদৃষ্টিতে শেখ জামাল সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। লিগের অবশ্য আরো সাত রাউন্ড খেলা বাকি।
ফলে দ্বিতীয় স্থান দখল নিয়ে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও নাটকীয়তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। লিগে দ্বিতীয় হলেই এএফসি কাপের প্লে অফ খেলা যাবে না। দ্বিতীয় স্থানের পাশাপাশি থাকতে হবে এএফসি ক্লাব লাইসেন্স।
রানারআপ দলের ক্লাব লাইসেন্সিং না থাকলে তৃতীয় বা পরবর্তী দল যাদের ক্লাব লাইসেন্সিং রয়েছে তারা প্লে অফ খেলার সুযোগ পাবে। ক্লাব লাইসেন্সিং থাকায় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিগে চতুর্থ হয়েও এএফসি কাপের প্লে অফ খেলেছিলো একবার।
আগামী মৌসুমে এএফসি কাপের জন্য ক্লাব লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া এখনো চলমান আছে। ঢাকা আবাহনী, মোহামেডান, সাইফ স্পোর্টিংয়ের ক্লাব লাইসেন্সিং আগেই রয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে শুধু নবায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নশিপ ও রেলিগেশন জোনের লড়াইটা সেভাবে নেই। ফলে এখন লিগের আকর্ষণ মুলত রানারআপ নিয়ে। ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এএফসি কাপের সর্বশেষ প্লে অফ খেলেছিল ঢাকা আবাহনী। আবাহনী এবার শিরোপা লড়াই থেকে ছিটকে গেছে।
প্রিমিয়ার লিগের বাইলজ অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন ও রেলিগেশনের ক্ষেত্রে পয়েন্ট সমান হলে প্লে অফ। দ্বিতীয় ও অন্যান্য পজিশনে পয়েন্ট সমান হলে গোল ব্যবধান বিবেচ্য হবে।
সাননিউজ/এএসএম