স্পোর্টস ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা তিন ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে প্রতাপশালী দলটির বিরুদ্ধে এ জয় অনন্য ও ঐতিহাসিক। শুক্রবার (৬ আগস্ট) সিরিজ জয়ের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১২৭ রান। জবাবে অজিরা তুলতে পারল মাত্র ১১৭ রান। তাতে ১০ রানের জয় আর ঐতিহাসিক সিরিজ জয়টা ধরা দিলো টাইগারদের হাতে।
১২৮ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকে মনে হয়নি অজিরা হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারবে। দ্বিতীয় ওভারে ম্যাথু ওয়েড ফিরে গেলে প্রতিবন্ধক হয়ে ছিলেন কেবল মিচেল মার্শ ও বেন ম্যাকডারমট। দুজনে মিলে এগিয়ে নিতে থাকেন অস্ট্রেলিয়াকে। ৬৩ রান আসে এই জুটিতে। ম্যাকডারমটকে বোল্ড করে এই জুটি ভেঙেছেন সাকিব। অজি এই ব্যাটসম্যান ফেরেন ৩৫ রানে। নতুন নামা ময়সেস হেনরিকস অবশ্য তিন বলই টিকতে পারেন। তাকে শামীমের তালুবন্দি করান শরিফুল।
ততক্ষণে মূল প্রতিবন্ধক মিচেল মার্শকে ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠে স্বাগতিকরা। তাতে সফলতাও আসে ১৭.১ ওভারে। তাকে নাঈমের তালুবন্দি করেন শরিফুল। তাতে ৪৭ বলে ৫১ রানে ফিরে যান মার্শ। আদতে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের স্বপ্ন চূর্ণ হয়ে যায় তখনই। শেষ দিকে অ্যালেক্স ক্যারি (২০) ও ড্যান ক্রিস্টিয়ান মিলে (৭) রানের ব্যবধানই কমান মাত্র। অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে করতে পারে ১১৭ রান। ২৯ রানে দুটি উইকেট নেন শরিফুল। ১৯ রানে একটি নিয়েছেন নাসুম আহমেদ ও ২২ রানে সাকিব আল হাসান।
অসি পেসারদের সামলে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১২৭ রান করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ৩ রানে নেই ২ উইকেট। দলের এমন কঠিন বিপদের সময় হাল ধরেন সাকিব আল হাসান আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। উইকেটে সেট হয়ে রানের গতি বাড়াচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু ১৭ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৬ রানের ঝড় তুলে ফিরতে হয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে।
ইনিংসের নবম ওভারের প্রথম বলেই অ্যাডাম জাম্পাকে তুলে মারতে চেয়েছিলেন সাকিব। ভেবেছিলেন লংঅফের ওপর দিয়ে বাউন্ডারি পেয়ে যাবেন। কিন্তু দৌড়ে এসে দারুণ এক ক্যাচ নেন অ্যাশটন অ্যাগার। তাতেই মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে সাকিবের ৩৬ বলে ৪৫ রানের জুটিটি ভাঙে।
তবে এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুবর সঙ্গে ২৩ বলে ২৯ আরেকটি জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ। এই জুটিতেও মাহমুদউল্লাহ ছিলেন ধীর, চালিয়ে খেলেছেন আফিফ।
তবে ঝড়ো গতিতে এগিয়ে যাওয়া আফিফ ভুল করে এক রান নিতে গিয়ে পড়েছেন রানআউটে। কভারে ঠেলে দিয়েই দৌড় দিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু জায়গামতো পৌঁছতে পারেননি।
সরাসরি থ্রোতে ননস্ট্রাইকের উইকেট ভেঙে দেন অ্যালেক্স কারে। ১৩ বলে একটি করে চার-ছক্কায় আফিফের ১৯ রানের ইনিংসটি থেমেছে তাতেই। এরপর শামীম হোসেন পাটোয়ারীও (৮ বলে ৩) হ্যাজলেউডকে ক্রস খেলতে গিয়ে মিডউইকেটে হয়েছেন ক্যাচ।
সাননিউজ/এএসএম/এমআর