স্পোর্টস ডেস্ক:
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করায় দেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি, যার মধ্যে দোষ স্বীকার করায় এক বছরের শাস্তি স্থগিত থাকবে।
নিষেধাজ্ঞা কাটানোর সময়ে নতুন করে আইন না ভাঙলে ১২ মাস পরে তিনি ফিরতে পারবেন ক্রিকেট মাঠে। সে হিসেবে এ বছরের ২৯ অক্টোবর ব্যাট-বল হাতে নামতে পারবেন টাইগার অলরাউন্ডার।
সেই হিসেবে নিষেধাজ্ঞার ৬ মাস অতিক্রম করে ফেলেছে সাকিব আল হাসান। সব ঠিক থাকলে আর ৬ মাস পরই নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হবেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। খেলা নেই, তার উপর বিশ্বে এখন মহামারি করোনার থাবা। তাই করোনা ভাইরাসের দুর্যোগের সময়ে অসহায় মানুষের সহায়তা করতে নিজের নামে গড়ে তুলেছেন ‘সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন’। বিশ্বকাপে খেলা ব্যাট নিলামে তুলে তা ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করে অর্থ বিলিয়ে দিয়েছেন দুস্থদের মাঝে। অনলাইনে চালিয়ে যাচ্ছেন সব কার্যক্রম।
দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের বড় একটি অংশের ধারণা, সাকিবের ঐ শাস্তি কমাতে বিসিবি কোন পদক্ষেপ নেয়নি। অনেক সমর্থক আবার সাকিবের নিষেধাজ্ঞার জন্য দায়ী করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে। এই বিষয়গুলো প্রায়ই দাপিয়ে বেড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সাকিব কখনোই এই ব্যাপারগুলো নিয়ে মুখ খুলেননি।
তবে সম্প্রতি ডয়েচে ভেলের বাংলা সংস্করণকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব এই গুঞ্জন নিয়ে মুখ খোলেন। সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একটি বিষয় বারবার সামনে আসছে- আপনার নিষেধাজ্ঞা কি বোর্ডের সাথে কোনো গণ্ডগোল, পাপন ভাইয়ের সাথে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ বা বোর্ড এটাকে আরও ভালোভাবে সামলাতে পারত কি না কিংবা বোর্ড ঠিকমত ভূমিকা পালন করেছে কি না?
জবাবে সাকিব বলেন, ‘দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট কিন্তু একদম স্বাধীনভাবে কাজ করে। ওরা যদিও আইসিসির অধীনে, কিন্তু আইসিসিও ওদের কিছু বলতে পারে না। সেভাবেই তাদের কাজের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। তাই এরকম ধারণা যাদের আছে, তাদের এমন ধারণা না রাখাটাই ভালো।’
সান নিউজ/ আরএইচ